Logo
Logo
×

সারাদেশ

যশোরে বিএনপি কর্মীকে গুলি করে হত্যা

Icon

যশোর ব্যুরো

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪০ এএম

যশোরে বিএনপি কর্মীকে গুলি করে হত্যা

ছবি : সংগৃহীত

যশোরে বাড়ির বারান্দায় মাথায় গুলি করে মেহের আলী (৪৫) নামে এক প্রবাসীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের বাদিয়াটোলা পশ্চিম পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। 

নিহত মেহের আলী ওই এলাকার আব্দুল মালেক মণ্ডলের ছেলে। তিনি গত ২৬ জুলাই কুয়েত থেকে দেশে ফিরেছেন। বিদেশ যাওয়ার আগে তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। 

স্বজনের দাবি, চাঁদাবাজি ও রাজনৈতিক কোন্দলে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। 

নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, গত দুই দিন ধরে নিহত মেহের আলী যশোর বাহাদুর এলাকার আনোয়ার হোসেন নামে তার এক খালু শ্বশুরের বাড়িতে ছিলেন। ঘটনার দিন শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে মেহের তার বাড়িতে ফেরেন। এদিন বাড়িতে রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে বাড়ির কলাপসিবল গেটে তালা মারতে আসেন। এর পর পূর্বে থেকে অপেক্ষা করা দুর্বৃত্তরা গেটের সামনে এসেই মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলির শব্দ শুনেই স্বজনরা দ্রুত ছুটে আসে এবং তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

নিহতের ছোট ভাই আবু আব্দুল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার ভাই মেহের আলীসহ তিন ভাই বিদেশে থাকি। বিদেশ যাওয়ার আগে ভাই বিএনপির রাজনীতি করতো। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা মিথ্যা মামলা দিয়ে বিভিন্ন সময়ে জেলও খাটিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ভাইয়ের কাছে নেতাকর্মীরা চাঁদাও দাবি করতো। কিন্তু ভাই দিতে চাইতো না। তাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কিছু দ্বন্দ্ব ছিল। এর মধ্যে দীর্ঘদিন পর গত ২৬ জুলাই আমার ভাই দেশে ফিরেছে। আমি ফিরেছি তার মাস খানিক আগে। সর্বশেষ গত সোমবার আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলে সেইসব নেতাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে শুনেছি। এসব রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছি। 

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. খন্দকার রেজওয়ান উদ দারাইম জানান, গুলিবিদ্ধ মেহের আলীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনেন স্বজনরা। তার মাথার পিছনের দিকে ডান সাইটে গুলি লেগেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। 

যশোর কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কী কারণে হত্যা করা হয়েছে, সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। অভিযান চলছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম