বগুড়ার শহর ও শহরতলির সড়কগুলো দীর্ঘদিন ধরে যানজটের কারণে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে। অবৈধ থ্রিহুইলার বেপরোয়াভাবে চলাচল ও যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলায় দুর্ভোগ ছিল। অনেক সময় সড়কে হেঁটেও চলাচল করা সম্ভব হয় না। পাঁচ মিনিটের পথ যেতে ৪০ মিনিট লাগে।
এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন। এতে সড়কগুলো যানজটমুক্ত ছিল, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করতে পারেনি।
জানা গেছে, মঙ্গলবার কাউফিউ না থাকা ও অফিস আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় শহরে জনসমাগম বাড়ে। রাস্তায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল শুরু হয়। এতে যানজট দেখা দেয় কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্বে না থাকায় শহর বিশেষ করে জিরো পয়েন্ট সাতমাথায় যানজটের সৃষ্টি হয়। জনগণের দূর্ভোগ লাঘব ও যানজট নিরসনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা মাঠে নামেন। তাদের নির্দেশনায় যানবাহন ও জনগণ সঠিকভাবে চলাচল করে।
এছাড়া হকাররা ফুটপাতে পণ্য নিয়ে বসতে পারেননি। যানবাহনকে সাতমাথায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এতে শহর যানজটমুক্ত থাকায় জনগণের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। তাদের এ ভূমিকায় জনগণ ভূয়সী প্রশংসা করেন।