পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া আরও কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে রোববার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের আব্দুল হামিদ সড়কের জেবি মোড়ে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের সমাবেশে পেছন থেকে গুলির ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের দুলালউদ্দিনের ছেলে জাহিদু ইসলাম (১৯), দুগাছি গ্রামের মাহবুবুল হোসেন (১৬)। নিহত শিক্ষার্থীর ফাহিমের (১৭) বাবা ও গ্রামের নাম পাওয়া যায়নি ।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বর্তমানে শিক্ষার্থীরা আব্দুল হামিদ সড়কে অবস্থান করছেন।
এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়লে কিছু সময়ের জন্য বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। মৃত্যুর খবর শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও জ্বালাময়ী স্লোগানে তাদের দাবি প্রকাশ করে। দফায় দফায় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ঘোষিত কর্মসূচি পালন করছিল। এ সময় পেছন থেকে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিক পৃথক হামলা চালায়। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য নেতা আবু সাঈদ এলোপাথারী গুলি ছোড়ে। পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পিছু হটে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারী একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ৩৫ জন ভাই আহত হয়। তাদের আমরা দ্রুত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় হাসপাতালে তিনজন মারা গেছে।
নিহতরা পুলিশের গুলিতে মারা গেছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।