কালিয়াকৈরে পুলিশ বক্স ও আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৪, ০২:৩২ পিএম
কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা সকাল থেকেই বিভিন্ন স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। রোববার দুপুর ১২টার দিকে তারা চন্দ্রা পুলিশ বক্স ও আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উপজেলার মৌচাক, চন্দ্রা ও কালিয়াকৈর এলাকায় সড়কে মিছিলে মিছিলে উওাল হয়ে ওঠে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা নানা স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন। তারা লাঠি হাতে নিয়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে সকল যানবাহন বন্ধ করে দেন। এ সময় পুরো এলাকা তাদের দখলে চলে যায়। নানা স্লোগানে তারা মিছিল নিয়ে চন্দ্রা পুলিশ বক্স ও আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সারিবদ্ধভাবে অবস্থান নিয়েছে চন্দ্রা যাত্রীছাউনির সামনে।
আন্দোলনকারী ছাত্র ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সারা দেশের মতো গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড়ে রোববার বেলা ১১টা থেকে অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে পুলিশ সদস্যদের মহাসড়কের পাশেই নিরাপদ স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সড়কে যান চলাচল না করায় ভোগান্তিতে পড়েন মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও পথচারীরা। বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের দাবি ছাত্রদের গুলি করা হত্যাকারীদের বিচার করতে হবে অন্যথায় সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্রদের মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সরকারবিরোধী প্রতিবাদী নানা স্লোগান লিখতে দেখা গেছে। অব্যাহত ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও গাজীপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করে দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে ছাত্র জনতার অংশগ্রহণে চন্দ্রা এলাকায় তারা মহাসড়কের উপর অবস্থান নিলে কার্যত ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেকটা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা চন্দ্রা এলাকায় মহাসড়কে অবস্থান করায় ঢাকা থেকে কোনো যানবাহন উত্তরবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গ থেকে কোনো যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ করতে পারেনি। কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন কর্মসূচি চলবে।