মমতাজ চক্ষু হাসপাতালে ভাঙচুর
যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৪, ০২:০৫ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মানিকগঞ্জে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এর সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজারও নেতাকর্মী অংশ নেন। আন্দোলনকারীদের হামলায় এটিএন বাংলার শহিদুল ইসলাম সুজন ও ইনডিপেনডেন্ট টিভির মঞ্জুর রহমানসহ কয়েক সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুজন পুলিশও আহত হয়েছেন। তাদের মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার সকাল দশটা থেকে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার মানরায় মমতাজ চক্ষু হাসপাতালের সামনে এসে মিলিত হয়। মিছিলে সরকারবিরোধী এবং একদফার পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা সাবেক এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের মালিকানাধীন মমতাজ চক্ষু হাসপাতালে ইটপাটকেল ছুড়ে সামনের অংশে ভাঙচুর চালায়। সকাল থেকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা ও মানরা এলাকায় আন্দোলনকারীদের দখলে রয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন জাহিদ টাওয়ারে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ ছাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে। দুপুর ১২টার দিকে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি আরও নাজুক আকার ধারণ করে। এ সময় আন্দোলনকারীদের ধাওয়ায় পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে পুলিশ মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ভেতরে অবস্থান নেয়। হাসপাতালের অভ্যন্তর থেকে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ছুড়লে আন্দোলনকারীরা হাসপাতালের ভেতর প্রবেশ করে।
পরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নেন। বিক্ষোভে মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তারা স্লোগান দেন, আমার ভাই নিহত কেন? সরকার জবাব দে, রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়সহ সরকারবিরোধী নানান স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
এদিকে শহরের বিজয় মেলা মাঠে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জড়ো হতে দেখা যায়।