Logo
Logo
×

সারাদেশ

গোয়ালন্দের ভাইরাল অধ্যক্ষ আইয়ুব আলীকে জামালপুরে বদলি

Icon

শামীম শেখ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) 

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৪০ পিএম

গোয়ালন্দের ভাইরাল অধ্যক্ষ আইয়ুব আলীকে জামালপুরে বদলি

চাকরি জাতীয়করণের কাজে টাকা চেয়ে নোটিশ জারি করে ব্যাপকভাবে সমালোচিত ও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী সরদারকে জামালপুরে বদলি করা হয়েছে।

বিদায়কালে সিনিয়রকে (সহকারী অধ্যাপক) বাদ দিয়ে একজন জুনিয়র প্রভাষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করে তিনি নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন। 

এ নিয়ে কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী, স্হানীয় সচেতন মহল ও ফেসবুকে নিন্দার ঝড় উঠেছে। 

গত বৃহস্পতিবার তিনি দ্বায়িত্ব হস্তান্তর করে কলেজ থেকে অবমুক্ত হন। 

জানা গেছে , ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট কলেজটি সরকারিকরণের ঘোষণা আসে। এরপর কলেজের একটি পক্ষ জাতীয়করণের কাজে খরচের জন্য টোকেন মানি (ঘুষের টাকা) আদায়ে সাধারণ শিক্ষক ও কর্মচারীদের কাছ থেকে কয়েক দফা টাকা আদায় করেন।

সর্বশেষ গত ২০ জুন কলেজের অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী সরদার নোটিশ জারি করে আরও পাঁচ হাজার টাকা করে আদায় করেন। কিন্তু বিষয়টি কলেজের বাইরে প্রকাশ হয়ে গেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে। 

এদিকে গত ২৫ জুলাই রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সরকারি কলেজ-২ উপসচিব চৌধুরী সামিয়া রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী সরদারকে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে রসায়নের অধ্যাপক হিসেবে বদলি করা হয়। সেই সঙ্গে ১ আগস্টের মধ্যে বিধিমালা অনুযায়ী দায়িত্ব হস্তান্তর করে অবমুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী কলেজে উপাধ্যক্ষ না থাকলে সিনিয়র সহকারী অধ্যাপক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হবেন। সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজে উপাধ্যক্ষ পদটি শূন্য রয়েছে। সহকারী অধ্যাপক রয়েছেন দুজন। আমিরুল ইসলাম লিন্টু ও নুরুল ইসলাম। এদের বেতন গ্রেড ৬ষ্ঠ। দুজনের মধ্যে আমিরুল ইসলাম জেষ্ঠ্য। তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব না দিয়ে দেওয়া হয়েছে ৯ম গ্রেডের প্রভাষক শামসুন্নাহার সিদ্দীকা জলিকে।

সিনিয়র সহকারী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগে সুস্পষ্টভাবে বিধিমালা লঙ্ঘন করা হয়েছে। কাজটি সঠিক হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের কয়েকজন শিক্ষক জানান, ইতিপূর্বে কলেজে নির্বাচন ছাড়াই শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয় শামসুন্নাহার সিদ্দীকা জলিকে। এবার নিয়ম ভেঙে তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হলো। এতে তারা ক্ষুদ্ধ।

এ ব্যাপারে কথা বলতে সাবেক অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী সরদার এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামসুন্নাহার সিদ্দীকা জলি'র মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও কেউ রিসিভ করেননি।

গোয়ালন্দ উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র জানান, দায়িত্ব হস্তান্তরের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এখানে বিধিমালা লঙ্ঘন করা হয়েছে। অধ্যক্ষ তার পছন্দের একজনকে দায়িত্ব হস্তান্তর করে গেছেন। কিন্তু এ বিষয়ে মাউশি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম