নোয়াখালী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের বেগমগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলে সিএনজিচালক জসিম উদ্দিন ও তার মা মরিয়ম বেগমসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অটোরিকশার আরও তিন যাত্রী। ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি দুটি আটক করেছে হাইওয়ে থানা পুলিশ।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের দোকানঘর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হচ্ছেন— অটোরিকশাচালক জসিম উদ্দিন (৫২) তার মা মরিয়ম বেগম (৭৫) ও অটোরিকশা যাত্রী ছকিনা বেগম (৫০)। আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে জানা যায়, সকালে নিজের মাসহ আরও পাঁচজন যাত্রী নিয়ে চৌমুহনী থেকে সিএনজিযোগে জমিদার হাটের উদ্দেশে রওনা করেন সিএনজিচালক জসিম। এ সময় লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশে ফেনী থেকে ছেড়ে আসে স্টার লাইন নামে একটি বাস। বাসটি দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দোকানঘর এলাকায় পৌঁছলে জসিমের অটোরিকশাকে সামনে থেকে চাপা দেয়। এতে সিএনজিটি ধুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ভেতরে থাকা জসিম, তার মা মরিয়ম বেগম ও সিএনজি যাত্রী ছকিনা বেগম ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে অপর আহত তিন সিএনজি যাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ও চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ওসি রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। বাসচালক ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। নিহতের পরিবারের লোকজন তাদের মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছে। আমরা তাদের বাড়িতে গিয়ে মৃতদেহ সুরতহালের ব্যবস্থা করব। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ ফেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।