প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চান গুলিতে নিহত আমির হোসেনের স্ত্রী আন্নি
তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৪, ১০:০৮ পিএম
তিন সন্তান নিয়ে সিএনজিচালক আমির হোসেনের স্ত্রী আন্নি আকতার এখন অসহায়। গত ১৯ জুলাই সিএনজিচালক আমির হোসেন বাসায় ফেরার পথে রামপুরায় দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন। এতে ঘটনাস্থলেই ঢলে পড়েন তিনি।
কর্মক্ষম স্বামীকে হারিয়ে ৩ সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্ত্রী আন্নি আকতার। সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। সন্তানদের ভরণপোষণ ও লালনপালনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চেয়েছেন আন্নি।
জানা গেছে, তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের মৌপাড়া এলাকার মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে আমির হোসেন প্রায় ১ যুগ আগে কাজের সন্ধানে স্ত্রী আন্নি আকতারকে নিয়ে ঢাকায় যান। রামপুরার পশ্চিম ওলন রোডের চান্দু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে সিএনজি চালাতেন আমির।
সেখানেই আরমান (৮), আরিয়ান (৫) ও আমেনা (১) নামের তিন সন্তানের বাবা হন তিনি। কোটা সংস্কার আন্দোলনে দুইপক্ষের সংঘর্ষের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৯ জুলাই মারা যান আমির হোসেন। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই এনে তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের মৌপাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন।
নিহত আমির হোসেনের স্ত্রী আন্নি আকতার কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার আর কিছুই রইল না। স্বামী মারা না গিয়ে আমি মারা গেলে ভালো হতো। এখন আমার তিন সন্তানদের ভরণপোষণ কে দেবে। আমি কিভাবে সন্তানদের লালনপালন করব। সন্তানদের ভরণপোষণ ও লালন পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সহায়তা চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম বলেন, হতদরিদ্র আমির হোসেন দীর্ঘদিন যাবত সিএনজি চালাতেন। কোটা আন্দোলনের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আমির হোসেন মারা যান। তার রেখে যাওয়া ৩টি সন্তান নিয়ে তার স্ত্রী আন্নি আকতার এখন খুবই অসহায়। ওদের সহযোগিতার জন্য সরকারের কাছে জোর অনুরোধ জানাই।
তালতলী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, নিহত আমির হোসেনের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। নিহতের ঘটনাস্থল ঢাকায়। ওখানেই পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুম্পা বলেন, নিহত আমির হোসেনের বাড়ি পরিদর্শন করেছি। তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।