Logo
Logo
×

সারাদেশ

মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ   

প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৪, ১০:২৬ পিএম

মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়

মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বোর্ডের নির্ধারিত টাকার বাইরে ৩৩০ টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, অনলাইনে ভর্তির জন্য নির্ধারিত টাকা শিক্ষার্থীরা ব্যাংকে জমা দিয়ে কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার সঙ্গে রসিদের মাধ্যমে নগদ ৩৩০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। কিছু খাত উল্লেখ করে বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে ভর্তির আয়ের টাকা থেকে প্রতিবছর বিপুল অঙ্কের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

দেবেন্দ্র কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থী শরিফুজ্জামান জানান, তিনি ব্যাংকে ২৫৯৫ টাকা জমা দিয়েছেন। এখন কলেজে ভর্তির জন্য কাগজপত্রের সঙ্গে আরও ৩৩০ টাকা চাচ্ছে। সবাই দিচ্ছে তাই বাধ্য হয়েই ৩৩০ টাকা দিতে হলো। কিন্তু কোন খাতে কত টাকা তা স্লিপে উল্লেখ নেই। শুধু উল্লেখ রয়েছে ডিজিটাল হাজিরা পরিচালনা ব্যয়, একাডেমি ক্যালেন্ডার, কলেজ ব্যাচ, আইডি ফরম ও অন্যান্য।

এছাড়া শিক্ষার্থী বিথি শীল ও মেহজাবিন বলেন, বোর্ড থেকে নির্ধারণ করা টাকা তো ব্যাংকে জমা দিয়েছি। এখন ভর্তি হতে এসে জানতে পারলাম আরও ৩৩০ টাকা দিতে হবে।

আরিফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী অভিভাবক জানালেন, বোর্ড যে টাকা নির্ধারণ করেছে তার বাইরে ৩৩০ টাকা দেওয়া কতটু যুক্তিসঙ্গত এটা ভেবে দেখতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের একাদশ শ্রেণিতে মানবিক শাখায় ৮২৫ জন, ব্যবসায়ী শাখায় ৬০০ এবং বিজ্ঞান বিভাগের ৪২৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি হচ্ছেন মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরিপত্র অনুযায়ী ভর্তি ও সেশন চার্জ বাবদ সর্বোচ্চ ২৫৯৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন ২২৫৫ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বোর্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা করে দেবেন্দ্র কলেজ ৩৩০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।

মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম জানান, একাডেমি কাউন্সিল মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত আরও ৩৩০ টাকা করে নেওয়া কথা স্বীকার করেছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম