গোয়ালন্দে অবৈধ ড্রেজিংয়ে ধসে গেছে গুচ্ছগ্রামের ১০ ঘর
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৩ পিএম
ছবি: যুগান্তর
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের দুর্গম চর বেতকা গুচ্ছগ্রামের ১০টি ঘর গভীর খালে ধসে গেছে। গুচ্ছগ্রামের পাশে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় সেখানে বিশাল খালের সৃষ্টি হয়েছে। খালে গুচ্ছগ্রামে আরও বেশ কয়েকটি ঘর ও কেন্দ্রের একমাত্র ক্লাব ঘরটি ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
শনিবার দুপুরে বিশাল পদ্মা নদীর ওপার দুর্গম ওই চর এলাকা পরিদর্শনের সময় গুচ্ছগ্রাম কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র।
এ সময় তিনি ধসে যাওয়া স্থানে গাইড ওয়াল নির্মাণসহ ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহের ব্যবস্থা করা এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।
সরেজমিন আলাপকালে গুচ্ছগ্রামের কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা যুগান্তরকে জানান, এলাকায় একটি সরকারি রাস্তা নির্মাণের জন্য আশ্রয় কেন্দ্রের পাশ থেকে ড্রেজিং করে বালু তোলা শুরু করে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। এর মধ্যে রয়েছে পাবনার ঢালারচর এলাকার ড্রেজিং মালিক মতিন, তার সহযোগী স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য জালাল, খাজা মন্ডল, হাবি শেখ, আক্কাস, কেরামত প্রমুখ।
রাস্তার কাজ শেষ হয়ে গেলেও তারা দীর্ঘদিন ধরে আশপাশের বিভিন্ন বসতবাড়িতে বালু সরবরাহ করতে থাকে। এভাবে এখানে গভীর বিশালাকার খালের সৃষ্টি হয়েছে। বালু উত্তোলনের সময় তাদের নিষেধ করলে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখায় তারা।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, তাদের এখন বিকল্প কোনো থাকার ব্যবস্থা নেই। অথচ এ আশ্রয় কেন্দ্রের অনেক ঘর বন্দোবস্ত নিয়েও তারা বসবাস করে না। অযথা দখল করে রেখেছে। আশ্রয় কেন্দ্রের ঘরগুলোও জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। নেই পর্যাপ্ত টিউবয়েল। নষ্ট হয়ে গেছে সবগুলো পায়খানা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র জানান, জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলাপ করে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা এবং ধসে যাওয়া স্থান মেরামত করাসহ গুচ্ছগ্রামবাসীর জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করা হবে।