প্রধানমন্ত্রীর একটি সিদ্ধান্তে ষড়যন্ত্র প্রতিহত হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০:১৬ পিএম
নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ফাইল ছবি
নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ছাত্র আন্দোলন যখনই শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই স্বার্থান্বেষী মহল তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ঢাকা শহরে অগ্নিসন্ত্রাস ও তান্ডব চালায়। বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করে, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করে, মেট্রোরেল স্টেশন ও ডাটা সেন্টার পুড়িয়ে দেয়। উদ্দেশ্য ছিল সমগ্র বিশ্ব থেকে দেশকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া। বাংলাদেশকে পরিত্যক্ত দেশে পরিণত করার মহাপরিকল্পনা ছিল তাদের। প্রধানমন্ত্রীর একটি সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে তাদের সেই ষড়যন্ত্রের রাজনীতি প্রতিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন ও প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বন্দরের শ্রমিকদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নৌপ্রতিমন্ত্রী। বন্দরের ৬ হাজার ৭০০ শ্রমিকের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পুলিশের পোশাক পরে দুর্বৃত্তরা ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছ। তিনি বলেন, কারফিউ আমরা জিয়াউর রহমানের সময়েও দেখেছি, এরশাদের সময়েও দেখেছি, ওয়ান ইলেভেনের সময়েও দেখেছি, এবারের কারফিউ ছিল সবচেয়ে স্বস্তির।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের স্বপ্ন বাংলাদেশকে ভিখেরি রাষ্ট্রে পরিণত করা। দেশকে উন্নত হতে না দেওয়া। বিদেশ থেকে উসকানি পেয়ে তারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। তাদের একমাত্র বাধা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে তারা উৎখাত করতে চায়, যা কখনোই সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সুস্থ থাকলে বাংলাদেশ সুস্থ থাকবে। তার একটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের মানুষকে সুস্থ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দারিদ্র্য জয় করে দেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন। এটা তাদের পছন্দ নয়। দেশের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির মধ্যে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সার্বভৌমত্বকে ধরে রাখার জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। এ ঘোষণা মানুষকে স্বস্তি দিয়েছে। কারফিউ জারির ফলে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের লাইফ লাইন চট্টগ্রাম বন্দর এক মিনিটের জন্য বিচ্ছিন্ন হয়নি। বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাহস ও দেশপ্রেম দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে বন্দরকে সচল রেখেছেন। এজন্য বন্দরের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের ধন্যবাদ জানান তিনি। যেকোনো মূল্যে চট্টগ্রাম বন্দরকে রক্ষা করা-সবার শপথ হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। আমরা দেখেছি, ব্যবসায়ীরা সাহসিকতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন, এ ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার সক্ষমতা তাদের রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীদের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। তাদের কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ এতটা গতিশীল ও বিস্তৃত হয়েছে।
কনটেইনারের ওপর বন্দরের ডেমারেজ আদায় প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক কনটেইনার আমদানিকারক পরিস্থিতির কারণে খালাস করতে পারেননি। তারা একটা চার্জের মুখোমুখি চলে এসেছেন। আপনারা জানেন যে, চট্টগ্রাম বন্দর ওয়েভার দিয়েছিল করোনার সময়। আমাদের কাছে ব্যবসায়ীরা সেভাবে যদি উপস্থাপন করেন, বন্দর সেটা বিবেচনা করবে। কারণ, শুধু ব্যবসা করার জন্য নয়, দেশের অর্থনীতির সেবা করার জন্য এ বন্দর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।