Logo
Logo
×

সারাদেশ

মায়ের গলা কেটে হত্যা করে ছেলের বিয়ের গহনা টাকা লুট

Icon

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম

মায়ের গলা কেটে হত্যা করে ছেলের বিয়ের গহনা টাকা লুট

প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে সাজেদা আক্তার (৬০) নামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ মীরসরাই পৌরসভার ২ নাম্বার ওয়ার্ডের ফারুকীয়া রোডের বন্ধন ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

নিহত সাজেদা আক্তার উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম মলিয়াইশ গ্রামের মো. মামুন চৌধুরী প্রকাশ খানের স্ত্রী। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিহতের স্বামী মো. মামুন চৌধুরী ও ছেলে আজমাদ হোসেন চৌধুরীকে আটক করেছে। গৃহকর্মী রোজিনার দিকেও সন্দেহের দৃষ্টি। তবে বিকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ পুরো ঘটনা অনুসন্ধান না করে কোনো মন্তব্যই করেনি। 

নিহতের আত্মীয় মো. শাহীন জানান, সাজেদা আক্তার সম্পর্কে তার চাচি। গত পাঁচ বছর ধরে তার চাচা খান সাহেব ও তার চাচি বন্ধন ভবনের বি-১ ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। দুই ছেলে প্রবাসে থাকেন। কয়েক দিন আগে ছোট ছেলে আমজাদ হোসেন চৌধুরী প্রবাস থেকে দেশে আসেন। বিয়ের জন্য তিনি ১০ ভরি স্বর্ণও নিয়ে আসেন।  

নিহতের ভাগিনা আ. মতিন জানান, ঘটনার সময় আমার মামা জরুরি কাজে মীরসরাই বাজারে এসেছিলেন, ঘরে তখন মামি ও কাজের মহিলাই ছিলেন শুধু। ঘরে আমার মামাতো ভাইয়ের আনা ১০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৪৫ হজার টাকা ছিল। কাজের মেয়েটি এসব বিষয় জানত। কেউ কেউ ধারণা করছেন, তিনিই (গৃহকর্মী) শুধুমাত্র স্বর্ণ ও টাকার লোভে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। 

গৃহকর্মী রোজিনা আক্তার জানান, দুপুর ১২টার পরে তিনি ভবনের সিঁড়ি দিয়ে ৩ তলায় যাওয়ার সময় বি-১ ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে দরজা পেটানোর শব্দ পেয়ে দেখেন বাহির থেকে দরজায় হুক দেওয়া। তিনি দরজার হুক খুলতেই দেখেন দরজার সামনে মো. মামুন চৌধুরী দাঁড়িয়ে ঘামছেন। তার মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না। পরে ভেতরে গিয়ে দেখেন মো. মামুন চৌধুরীর স্ত্রী সাজেদা আক্তারের রক্তাক্ত দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। 

কিন্তু ভাগিনা ও ভাতিজারা অনেকেই জানান, তাদের মামা অর্থাৎ নিহতের স্বামী তখন ঘরের বাহিরে গিয়েছিলেন কাজে। 

এ বিষয়ে মীরসরাই থানার ওসি শহীদুল ইসলাম জানান, একটি ফ্ল্যাট থেকে সাজেদা আক্তার নামে এক মহিলার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত খুব শীঘ্রই উদঘাটন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) দীপ্তেশ চক্রবর্তী বলেন, আমরা সন্দেহভাজন সবাইকে খোঁজ করছি। তদন্তপূর্বক সব তথ্য শীঘ্রই জানাতে পারব আশা করছি। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম