Logo
Logo
×

সারাদেশ

আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে ১১ প্রকল্পে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ!

Icon

স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৫ পিএম

আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে ১১ প্রকল্পে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ!

অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান খান। ছবি : যুগান্তর

মানিকগঞ্জের শিবালয়ের উলাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সসস্য আব্দুল মান্নান খানের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সহযোগিতায় সরকারি ১১টি প্রকল্পের সাড়ে ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

এ নিয়ে খোদ দলের একাধিক পদধারী নেতাসহ এলাকার ৭১ জন ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে (২০২৩-২০২৪) অর্থবছরে রূপসা ওয়াহেদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ে মাঠ ভরাট উন্নয়ন প্রকল্প থেকে  ৫ লাখ, কোদালিয়া মসজিদ উন্নয়ন প্রকল্পের নামে ৫০ হাজার, দক্ষিণ খানপুর মসজিদের ৫০ হাজার টাকা, রূপসা মসজিদ মাদরাসার নামে ৫০ হাজার , কোদালিয়া ঈদগাহ মাঠ উন্নয়নের নামে এক লাখ, কোদালিয়া মসজিদ এক লাখ টাকা,শালজানা একিনের বাড়ি থেকে দুলাল ভৌমিকের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত, কোদালিয়া বিল্লালের বাড়ি থেকে নদী পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের নামে তিন লাখ, কোদালিয়া মান্নানের বাড়ি থেকে ছলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামতসহ ১১টি প্রকল্পের প্রায় ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুদেব কৃষ্ণের সহযোগিতায় আত্মসাৎ করেছেন। 

এদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দলের প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশ করে তিনি বিভিন্ন প্রকল্প দাখিল করে পরে তা অনুমোদন করিয়ে নেন। পরে দুজনের মধ্যে প্রকল্পের টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেন। বিগত চার বছরে তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের নেতারা।

উলাইল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি আমজাদ হোসেন, ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন জানান, এলাকাবাসীর চাপের মুখে রূপসা ওয়াহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাট প্রকল্পের নামমাত্র কাজ করা হয়েছে। অভিযোগ উঠায় তড়িঘড়ি করে ওই মাঠে ৩০-৩৫ ট্রাক মাটি ফেলেন তিনি। 

এ বিষয়ে রূপসা ওয়াহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন শফি বলেন, বিদ্যালয় মাঠ ভরাটের কাজ আসার বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে জানতে গেলে তিনি আমার সঙ্গে অশোভনীয় আচরণ করেন। মাঠ ভরাটের কাজে আমাদের বিদ্যালয়ের কাউকে রাখা হয়নি। কত টাকার প্রকল্প তাও আমাদেরকে জানানো হয়নি। 

ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শামসুল হক, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আফতাব উদ্দিন বলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুদেব কৃষ্ণের সহযোগিতায় স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা ও রাস্তা ঘাটের উন্নয়নের নামে বিভিন্ন প্রকল্প এনে টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান খান বলেন, যারা অভিযোগ করেছেন তারা সবাই সমাজের বাজে লোক, সমাজে তাদের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। তার দাবি ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে জেলা প্রশাসকের কাছে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুদেব কৃষ্ণ বলেন, তিনি এখন ছুটিতে আছেন । এখন তিনি কথা বলতে পারবেন না। 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলাল হোসেন যুগান্তরকে জানান, প্রকল্পের কাজ না করে বিলা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রকল্পগুলো সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম