সিয়ামের বেপরোয়া জীবন নিয়ে মুখ খুললেন ডাসা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
কালকিনি-ডাসার (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৪, ১১:০৭ এএম
![সিয়ামের বেপরোয়া জীবন নিয়ে মুখ খুললেন ডাসা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/07/11/image-826907-1720674416.jpg)
পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের অন্যতম হোতা মাদারীপুর ডাসার উপজেলার পশ্চিম বোতলার বাসিন্দা গাড়ি চালক সৈয়দ আবেদ আলীর ছেলে সোহানুর রহমান সিয়ামের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল উপজেলার সন্ত্রাসী, মাদকসেবীসহ অসামাজিক কার্যক্রমে জড়িতদের। তার উদ্দেশ্য ছিল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করা। এলাকায় এসে সিয়াম তার সহযোগীদের নিয়ে দামি গাড়িতে চড়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়াতেন। সহযোগী ও বন্ধুদের পেছনে লাখ লাখ টাকা খরচ করতেন। তার গ্রামের বাড়ি ডাসার উপজেলার পশ্চিম বোতলা গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে এলাকাবাসীর কাছ থেকে।
এলাকাবাসী এমন কথাও বলেছেন যে সিয়ামকে বেশিদিন কারাগারে আটকে রাখতে পারবে না। কারণ ওপরমহলে তাদের হাত আছে। সিয়াম এলাকায় লোক দেখানো সামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে তার সংবাদ ও ছবি টাকা দিয়ে নিজের ও পিতা আবেদ আলীর ফেসবুক পেজে বুস্ট করতেন। বিভিন্ন মিডিয়ায় বাবা-ছেলের এসব অপকর্ম প্রচার হলে ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় তারা গ্রেফতার হলে গ্রামবাসী আসল ব্যাপার বুঝতে শুরু করে।
আবেদ আলী এলাকায় দান-খয়রাত করলেও গ্রামে গিয়ে জানা গেছে, তার ছোট দুই ভাই দারিদ্র্যের মাঝে দিন কাটাচ্ছেন। দিনমজুরের কাজ করেন তারা।
আবেদ আলী সম্পর্কে আরও যা জানা গেল
বোতল গ্রামবাসীর সূত্রে জানা গেছে, আবেদ আলীর পুরনো ভিটায় পরিত্যক্ত অবস্থায় তালাবদ্ধ একটা একতলা ভবন। গ্রামের বাড়িতে এলে সিয়াম ওই বিল্ডিংয়ে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আড্ডা দেন। অথচ তার দুই চাচা থাকছেন ভাঙাচোরা টিনের ঘরে।
স্থানীয় এলাকাবাসী মাইনুলসহ বেশ কয়েকজন জানান, সিয়াম বন্ধু বান্ধব নিয়ে এলাকায় এসে আড্ডাবাজি করত। মুহর্তের মধ্যে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করত। টাকার প্রতি কোনো মায়া ছিল না।
অন্যদিকে ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ অনিক হোসেন বলেন, ‘সংগঠনের নীতি-আদর্শ ও নৈতিকতা পরিপন্থী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকায় সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামকে ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যক্রমের সময় সিয়ামকে কখনো পাওয়া যায়নি। সিয়াম যে ভাবে চলাফেরা করত ওই ভাবে কোনো ছাত্রলীগের কর্মী চলতে পারে না। তার লাইফ স্টাইলে ছিল দাম্ভিকতা। মানুষকে মানুষ মনে করত না।