কোটাবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল পবিপ্রবি ক্যাম্পাস
দুমকি দক্ষিণ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৭ পিএম
ছবি: যুগান্তর
কোটাবিরোধী ছাত্র বিক্ষোভ আর শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন প্রজ্ঞাপন বাতিলসহ ৭ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠেছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) ক্যাম্পাস।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বুধবার বেলা ১১টার দিকে পবিপ্রবির প্রধান ফটকে এবং বেলা ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত পাগলায় পায়রা সেতুর টোলপ্লাজায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এ সময় বাউফল-দুমকি-বরিশাল ও কুয়াকাটা-ঢাকাসহ সব রুটের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন।
টানা দুই ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধে উভয়দিকের কয়েকশ অভ্যন্তরীণ রুট ও দূরপাল্লার পরিবহণ বাস আটকে দেন বিক্ষোভকারীরা। রোগী পরিবহণের অ্যাম্বুলেন্স ও সেনা ক্যাম্পের স্কুলবাস ব্যতিরেকে সব যানবাহন চলাচল বন্ধ দেওয়ায় বিভিন্ন রুটের শত শত যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়। অনেক যাত্রীকে বাস থেকে নেমে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে রিকশা, মোটরসাইকেল ও অটোবাইকসহ বিকল্প বাহনে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। এতে অতিরিক্ত অর্থব্যয়সহ চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের।
অপরদিকে সার্বজনীন পেনশন নীতিমালা বাতিলসহ ৭ দফা দাবিতে পবিপ্রবির শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিষদের ব্যানারে লাগাতার কর্মবিরতির দশম দিনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। প্রশাসনিক ভবনের সামনে কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ ও একাডেমিক ভবনের সামনে শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. জেহাদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামান মিয়া, কর্মকর্তা পরিষদ সভাপতি কৃষিবিদ সাইদুর রহমান জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মো. ওয়াজকুরুনী, কর্মচারী পরিষদ সভাপতি মো. মজিবুর রহমান মৃধা ও সদস্য সচিব সেলিম রেজা বক্তব্য দেন।
অপরদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ছাত্র বিক্ষোভে বক্তব্য দেন- পবিপ্রবির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সজিব, সোহেল রানা, তৃতীয় বর্ষের নুরনবী, অনুপম সানা প্রমুখ। বক্তারা অবিলম্বে কোটা বৈষম্য দূরীকরণসহ তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের এমন যুগপৎ প্রতিবাদ বিক্ষোভ আন্দোলনে পবিপ্রবির সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে।