টাঙ্গাইলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি কয়েক হাজার মানুষ
যুগান্তর প্রতিবেদন, টাঙ্গাইল
প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩৯ পিএম
টানা বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণে টাঙ্গাইলে যমুনা নদীসহ জেলার সব নদ-নদীর পানি কয়েক দিন যাবত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।
শুক্রবার সকালে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে- জেলার ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার, ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ভুঞাপুর, কালিহাতী ও সদর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। এছাড়া ভাঙনের পাশাপাশি তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় বিপাকে পড়েছেন মানুষ।
এদিকে নদীর পানি বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করার পর বন্যাকবলিত হওয়ার পাশাপাশি সাপের আতঙ্কে রয়েছেন পানিবন্দি লোকজন। বিশেষ করে রাসেলস ভাইপার সাপের কারণে বেশি আতঙ্কিত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে জেলার ভুঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসীর কষ্টাপাড়ার ঘোষপাড়া এলাকায় যমুনা নদীর পানি প্রবেশ করেছে। এতে ওই এলাকার অর্ধশত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া গোবিন্দাসী বাজারে পানি প্রবেশ করায় বেকায়দায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারের খালটি ময়লায় ভরাটের কারণে পানি বাজারে ঢুকেছে। এদিকে গত বুধবার জেলার কালিহাতী উপজেলার দুর্গাপুরে পাকা সড়ক ভেঙে পানি ঢুকছে লোকালয়ে।
গোবিন্দাসী বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, সকালেই বাজারের একাংশে পানি প্রবেশ করেছে। খালটি যদি দখলমুক্ত আর ময়লা আবর্জনায় ভরাট না হতো তাহলে পানি বাজারে উঠতো না। পানি তার গতিপথ বাধাগ্রস্ত হয়ে বাজারে প্রবেশ করেছে।
এদিকে কালিহাতীর দুর্গাপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিন দিন আগে পাকা সড়কটি ভেঙে ইউনিয়নের দুই শতাধিক বাড়িঘরে পানি উঠেছে। অনেকের দুর্ভোগ হচ্ছে।
ভুঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ বলেন, গোবিন্দাসী বাজারের একাংশসহ কষ্টাপাড়া এলাকায় পানি উঠেছে। এছাড়া নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, উজানের পানি নেমে আসায় ভাটিতে পানি ধীরে ধীরে বাড়ছে। ভূঞাপুরের অর্জুনা ইউনিয়নের কিছু ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী নিকরাইল ও গাবসারা ইউনিয়ন আজকালের মধ্যে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যার্তদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রস্তুত আছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে।