ভোলায় পারিবারিক বিরোধের জেরে মায়ের কবর বারান্দায় দিলেন সন্তানরা। জেলার দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার ওই কবরস্থান পাকা করা হচ্ছে।
এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার ঝড় ওঠে। মঙ্গলবার বিকালে বার্ধ্যকজনিত কারণে মারা যান জাবেদা খাতুন (৮৫)। মায়ের লাশ নিয়ে মেয়ে জরিনা বেগম ঘরে অবস্থান করলেও খোঁজ নিতে আসেননি একই বাড়িতে থাকা চাচা খোরশেদ আলম ও চাচাতো ভাইয়েরা। তারা জানিয়ে দেন তাদের মালিকানাধীন কবরস্থানে যেন কবর দেওয়া না হয়।
জয়নগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আজিমউদ্দিন গ্রামের সরদারবাড়িতে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা দেখতে-শুনতে ছুটে আসেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ। জানান ক্ষোভ ও।
জাবেদা খাতুনের ছেলে রিকশাচালক রফিজল ও আজিজল বলেন, আমরা ঢাকায় রিকশা চালাই। বাড়িতে বৃদ্ধ মা ও বোন ছিল। বাড়ির জমি নিয়ে চাচা খোরশেদ আলম ও চাচাতো ভাই রফিকুল ইসলাম রফিকের সঙ্গে বিরোধ চলছে। বাবার মৃত্যুর পর পারিবারিক কবর স্থানে তাকে দাফন করেছিলাম। ওই কবরস্থান এখন চাচাদের। এ নিয়ে প্রায় কটূক্তি করতেন তারা। জীবিত থাকতে মা বলে যান, তাকে যেন বিরোধপূর্ণ জমিতে দাফন করা না হয়।
জানা যায়, বার্ধক্যজনিত কারণে জাবেদা খাতুন মারা যান। বিরোধিতার মুখে পারিবারিক কবরস্থানে স্থান হয়নি জাবেদা খাতুনের। ঢাকা থেকে ছুটে আসেন ছেলেরা। একদিন অপেক্ষার পর নিজ ঘরের ভিটার বারান্দার বেড়া খুলে কবর দেওয়া হয় জাবেদা খাতুনকে। শুক্রবার কবরস্থান পাকা করার কাজ শুরু করেন ছেলেরা।
খোরশেদ আলম বলেন, কবরের জমির জন্য কেউ আসেনি। ওরা (ভাতিজা) একরোখা। কবরের জন্য জমির জন্য বলতে আসেনি। চাচাতো ভাই রফিকও জানান একই কথা।
দৌলতখান থানার ওসি সত্য রঞ্জন সরখেল জানান, বিষয়টি আগে জানলে স্বাভাবিক নিয়মে পারিবারিক কবর স্থানে কবর দেওয়ার উদ্যোগ নিতেন। তার পরও ছেলেদের আবেদন পেলে কবর স্থানান্তরের উদ্যোগ নেবেন।