Logo
Logo
×

সারাদেশ

এলজিইডির কার্যসহকারীর বিরুদ্ধে মাতাল অবস্থায় নারীকে হেনস্তার অভিযোগ

Icon

মির্জাগঞ্জ দক্ষিণ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম

এলজিইডির কার্যসহকারীর বিরুদ্ধে মাতাল অবস্থায় নারীকে হেনস্তার অভিযোগ

মির্জাগঞ্জে মাতাল অবস্থায় এক নারীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে এলজিইডির কার্যসহকারীর বিরুদ্ধে। উপজেলার চৈতামোড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। 

ওই কার্যসহকারী রেজাউল করিম কিরন উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ে কর্মরত আছেন। অভিযোগ আছে রেজাউল প্রায়ই মদপান করে মাতালবস্থায় বিভিন্ন সময়ে এলাকার লোকদের গালাগালসহ নানাভাবে হেনস্থা করেন। এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী নারী সোমবার উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,‘ রোববার বিকালে বরিশাল থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে বৃষ্টির মধ্যে ওই ভুক্তভোগী নারী চৈতামোড় এলকায় মোটরসাইকেল থেকে নেমে একটি চায়ের দোকানে থামে। হঠাৎ ওই দোকানে উপস্থিত হন রেজাউল করিম কিরন। দোকানে উঠেই ওই নারীকে তিনি নানা প্রশ্ন করতে শুরু করেন। 

ওই নারী বলেন, ‘আমাকে প্রথমেই প্রশ্ন করেন আমি কোথা থেকে এসেছি, কোথায় যাচ্ছি, কেন যাচ্ছি, আমার বয়স কত, আমি একা যাচ্ছি কিনা? এসব অবান্তর প্রশ্ন শুরু করেন। আমি এসব প্রশ্নের কারণ জানতে চাইলেই আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল শুরু করেন। এক পর্যায়ে আমার সঙ্গে থাকা ছোট ভাই তাকে নিষেধ করলে তিনি আমাকে ও আমার ভাইকে মারার জন্য একাধিকবার তেড়ে আসেন।  এসময়ে ওই চায়ের দোকানিসহ আশেপাশের লোকজন এসে তাকে বাধা দেন।  আমাদের পাশের আরেকটি দোকানে বসান। পরে জানতে পারি রেজাউল উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে কার্যসহকারী হিসেবে কর্মরত। 

তারা আরও বলেন, তিনি নিয়মিত মদপান করেন এবং মাতাল অবস্থায় প্রায় লোকের সঙ্গেই খারাপ আচারণ করেন। একজন সরকারি র্কমচারীর এমন আচারণে একজন নারী হিসেবে আমি বিব্রত। এর সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

চা দোকানি শিমু বেগম বলেন, আমিও একজন নারী, রাস্তায় একজন পথচারী নারীর সঙ্গে এমন আচারণ সত্যিই খারাপ। ঘটনাটি আমার দোকানের মধ্যেই ঘটে। আমরা বাধা দিলেও রেজাউল থামেননি। তাছাড়া তিনি প্রায়ই মাতাল হয়ে আমার দোকানে আসেন।  খাবার খেয়ে টাকা পর্যন্ত দেন না। টাকা চাইলে উলটো গালাগাল করে চলে যান। তার এমন কাণ্ডে আমরা বিব্রত।

রেজাউল করিম বলেন, ‘ওইদিন আমার মাথা গরম ছিল।  ওই নারীর সঙ্গে খারাপ আচারণ করিনি। 

মদপানের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি নিয়মিত অফিস করি, আমার ব্যাপারে সবাই মনগড়া কথা বলছে- আমি মদ খাই না।

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. আলমগীর বাদশাহ যুগান্তরকে বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটির তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা কলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম