‘মসজিদে যেতে পারিনি, কুরবানির এক টুকরো মাংস কেউ দেননি’

মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:২০ এএম

যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর চাঁদপুরের মতলবের এমএমকান্দির গ্রামে সমাজচ্যুত পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছেন মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন রনি। শনিবার যুগান্তরে ‘এ কেমন অমানবিকতা! কথা বললে জরিমানা ৫ হাজার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি মতলব উত্তর থানার ওসি আলমগীরের নজরে এলে সোমবার সকালে অটোরিকশাচালক মইজ উদ্দিনের বাড়িতে ছুটে যান তিনি। সঙ্গে চাল, ডাল, তেলসহ নানা খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যান তিনি।
এদিকে যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর ওই পরিবারকে সমাজচ্যুতের ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে। এমন অন্যায়ের বিচার দাবি করে ফেসবুকে সরব হয়ে ওঠে সচেতন মহল। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন মতলব উত্তর থানার ওসি।
ভুক্তভোগী মইজ উদ্দিন জানান, আমাদের স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে কুরবানি ঈদের আগে সমাজের কয়েকজন মানুষ তাদের স্বার্থের জন্য আমার ও আমার পরিবারের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছিলেন এবং আমার পরিবারকে সমাজচ্যুত করে দিয়েছিলেন। মসজিদে নামাজ পড়া, বাচ্চাদের মক্তবে পড়তে নিষেধসহ কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বললে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার নিয়ম করা হয়েছিল ও কুরবানির এক টুকরো মাংস কেউ দেননি। মইজ উদ্দিন আরও বলেন, ওসি সাহেব থানায় নিয়ে সবাইকে শাসিয়েছেন। এছাড়া যাদের নামে আমি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, পত্রিকার সংবাদ ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগের কারণে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। অসহায় পরিবারটির জন্য আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সাধ্য অনুযায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের থানায় ডেকে এনে উভয় পক্ষকে মিলেমিশে চলার অঙ্গীকার করাই।