ছেলের লাশ আনতে গিয়ে না ফেরার দেশে মা
যুগান্তর প্রতিবেদন, আমতলী (বরগুনা)
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০১:৫৪ পিএম
ছেলে আলম হাওলাদারের লাশ আনতে গিয়ে মোটরসাইকেল ও অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে লাশ হয়ে ফিরলেন মা পুস্প বেগম (৬৫)। মোটরসাইকেলচালক রুবেল সিকদার (৩২) নিহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের ডাক্তারবাড়ি নামক স্থানে রোববার সকাল ৭টায়। পুলিশ তিনটি মরদেহ উদ্ধার করে থানায় এনেছে।
কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গন্ডামারী গ্রামের আলম হাওলাদার (৪৫) দীর্ঘদিন লিভার সিরোসিস রোগে ভুগছিলেন। শনিবার রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আলমের লাশ নিয়ে মা পুস্প বেগম রোববার সকালে গ্রামের বাড়ি নিশানবাড়িয়া যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আমতলী-পটুয়াখালী সড়কের ডাক্তারবাড়ি নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে তা খাদে পড়ে এবং মোটরসাইকেল দুমড়ে-মুড়চে যায়। ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল চালক রুবেল সিকদার নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর লোকজন খাদে পড়া অ্যাম্বুলেন্স থেকে মৃত ছেলে আলম হাওলাদার ও মা পুস্প বেগমের লাশ উদ্ধার করে। তিনটি লাশ পুলিশ উদ্ধার করে থানায় এনেছে। রুবেল সিকাদারের বাড়ি আমতলীর আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের চাউলা গ্রামে। তার বাবার নাম আনসার সিকদার।
পুস্প বেগমের ভাই রহিম তালুকদার বলেন, আমার ভাগ্নে আলম হাওলাদার লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে মারা যায়। আমার ভাগ্নের লাশ আমার বোন পুস্প বেগম নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে মোটরসাইকেল ও লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স মুখোমুখি সংষর্ঘে আমার বোন মারা গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমার বোনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তরের দাবি জানাই।
রুবেলের স্বজন নাশির উদ্দিন নশা মৃধা বলেন, আমতলী থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্স ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রুবেল নিহত হয়েছেন।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, তিনটি লাশ থানায় আনা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।