Logo
Logo
×

সারাদেশ

আ.লীগ নেতা বাবুল হত্যায় দুই মামলায় আসামি ৫২৮

Icon

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০৩:১১ পিএম

আ.লীগ নেতা বাবুল হত্যায় দুই মামলায় আসামি ৫২৮

গত ২২ জুনের সংঘর্ষে বাবুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাঘা পৌর মেয়র আক্কাস আলী  অনুসারীদের নিয়ে প্রতিপক্ষকে লক্ষ করে ইট ছুড়ছেন -যুগান্তর

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। এ মামলা দুটিতে নামে ও অজ্ঞাতসহ ৫২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলা হয়েছে বাঘা থানায়, অন্যটি হয়েছে রাজশাহীর আদালতে। গ্রেফতার হয়েছেন ১০ জন।

জানা গেছে, বাঘায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের মধ্যে ২২ জুন সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ৫০ জন আহত হন। বাবুলের মাথায় চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত ২৬ জুন চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান। 

সংঘর্ষের পর গত ২৩ জুন উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা যুব লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে বাঘা পৌর মেয়র আক্কাস আলীকে প্রধান আসামি করে ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। 

এ মামলায় অজ্ঞাত ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়। তবে এ মামলাটি ২৬ জুন হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়েছে বলে জানা গেছে।

মামলার দুই নম্বর আসামি পাকুড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজসহ মারুফ হোসেন, তরঙ্গ আলী, শাজামাল লিটন, নাসির উদ্দিন, মতিউর রহমান, গোলাম মোস্তফা, শফিউর রহমান শফি, রফিকুল ইসলাম, জহুরুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেফতার করে। 

এর মধ্যে মেরাজ, মারুফ, তরঙ্গ, শাজামাল, নাসির, মতিউর, মোস্তফাকে আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বৃহস্পতিবার একদিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করে। রিমান্ড শেষে শুক্রবার তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়। 

অপর দিকে বাজুবাঘা ইউনিয়নের তেপুকুকুরিয়া গ্রামের আবুল কালাম নামের এক ব্যক্তি বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ ও দ্রুত বিচার আদালতে একটি মামলা করেন। 

বাবুল হত্যার মামলার বাদী উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা যুব লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টুকে প্রধান আসামি করে ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি হয়েছে। 

এ ছাড়া আরও ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ মামলার আইনজীবী জিয়াউর রহমান বলেন, আদালতের বিচারক মো. হাদিউজ্জামান মামলা গ্রহণ করে তা এজাহার হিসাবে রেকর্ড করার জন্য বাঘা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে বাঘা থানার (তদন্ত) ওসি ও বাবুল হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোয়েব খান বলেন, বাবুল হত্যা মামলায় ৭ জনকে গ্রেফতার করে একদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে আবুল কালামের করা মামলার কোনো কাগজপত্র থানায় আসেনি। আসলে ওই মামলাটিও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, এমপি শাহরিয়ার আলম ও বাঘা পৌর মেয়র আক্কাস আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্বের জেরে গত ২২ জুন সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে এমপি শাহরিয়ার আলমের অনুসারী বাবুল ২৬ জুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম