ঢাকার দোহার উপজেলার নারিশা পদ্মার চরে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে রাসেলস ভাইপার। ওই জেলে সাপটিকে না মেরে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন সাপটিকে রেসকিউ টিমের কাছে হস্তান্তর করেন।

জানা যায়, উপজেলার নারিশা এলাকায় এক জেলের জালে আটকে পড়া একটি জীবিত রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে  সংবাদ পেয়ে উৎসুক লোকজন সাপটিকে দেখতে ভিড় করেন উপজেলা চত্বরে। পরে সাপটিকে সুরক্ষিত করে রেসকিউ টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ইউএনও। খবর পেয়ে দোহারে ছুটে আসেন রেসকিউ টিমের সদস্যরা। এ সময় ইউএনও জাকির হোসেন রেসকিউ টিমের সদস্য রকিবুলের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে সাপটি হস্তান্তর করেন। রেসকিউ টিম বাংলাদেশের সদস্যরা জানান, উদ্ধারকৃত রাসেল ভাইপার সাপটি গবেষণার কাজে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেনম রিসার্চ সেন্টারে পাঠানো হবে। ইউএনও জাকির হোসেন বলেন, সাপ নিয়ে আতঙ্ক নয়, সচেতন হতে হবে। আমরা সাপটিকে গবেষণার জন্য রেসকিউ টিমের কাছে তুলে দিয়েছি। এটি এখন গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হবে। পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষার সাপের গুরুত্ব রয়েছে। অপপ্রচার ও আক্রান্ত রোগীর ভুল চিকিৎসার কারণে রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।