পলাশবাড়িতে চাঞ্চল্যকর রুবেল হত্যা মামলায় যুবক গ্রেফতার
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ০৩:৫২ পিএম
গ্রেফতার সাজ্জাদ মিয়া, ইনসেটে নিহত রুবেল মিয়া
গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে চাঞ্চল্যকর রুবেল হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি মো. সাজ্জাদ মিয়াকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব-১১।
এতে বলা হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি থানার মামলা নং-১৯, তাং- ১৯/০৬/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা- /১৪৩/৪৪৭/৩৪১/৩২৩/৩২৬/৩০২/৩০৭/৪২৭/৫০৬/১১৪ পেনাল কোড-১৮৬০ এর এজাহারনামীয় আসামি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, বাদী ও আসামিরা পাড়া-প্রতিবেশী হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবত তাদের মধ্যে জায়গা-জমিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধিতা চলে আসছে। এর প্রেক্ষিতে গত ১৮/০৬/২০২৪ খ্রিঃ বাদির ছেলে লিটন মিয়া নিজ বাড়ি হতে স্থানীয় বোর্ড বাজারে গেলে গ্রেফতারকৃত আসামিসহ আরও ৩০/৩৫ জন মিলে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে বেআইনি জনতায় দলবদ্ধ হয়ে বাদীর ছেলেকে এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করে এবং রক্তাক্ত জখম করে।
পলাশবাড়িতে তুচ্ছ ঘটনায় হত্যা, গ্রেফতার ৫
এ সময় তার ডাক-চিৎকার শুনে বাদীর ৮-১০ জন আত্মীয়-স্বজন এগিয়ে গেলে আসামিরা বাদী পক্ষের সবাইকে গুরুতর আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে এবং ঘটনাস্থল হতে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। আঘাতপ্রাপ্তদের মধ্যে রুবেল মিয়া নামক একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে তৎক্ষণাৎ গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার মাথায় অন্তত ১২০টি সেলাই লাগে। পরবর্তীতে ভিকটিম রুবেল মিয়ার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপের দিকে গেলে তাকে ঢাকা মেট্রোপলিন মেডিকেল সেন্টারে এনে ভর্তি করা হয় এবং সেখানে ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া তত্ত্বাবধানে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রুবেল মিয়া মৃত্যুবরণ করেন।
তুচ্ছ ঘটনায় দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু
অপরদিকে ঘটনার পর পরই মোছা রেবা বেগম বাদী হয়ে পলাশবাড়ি থানায় একটি গুরুতর আঘাত ও হত্যার চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে রুবেল মিয়ার মৃত্যুর কারণে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
পলাশবাড়িতে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১৫, বাড়িঘর ভাংচুর
র্যাবের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, নৃশংস এই হত্যাকান্ডে জড়িত আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ- এর একটি চৌকশ গোয়েন্দা টিম যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে তার অবস্থান সনাক্তপূর্বক গ্রেফতারের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে হত্যা মামলার আসামি সাজ্জাদ মিয়াকে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন ডহরগাঁও এলাকা হতে গ্রেফতার করে। সাজ্জাদ মিয়া একই উপজেলার বুজরুক বিষ্ণুপুর গ্রামের মো. শামছুল মিয়ার ছেলে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য পলাশবাড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে র্যাব।
প্রসঙ্গত, এ নিয়ে রুবেল হত্যা মামলায় অন্তত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।