Logo
Logo
×

সারাদেশ

ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া 

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৯:০২ পিএম

ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ব্যাংকে ডাকাতি করতে গিয়ে নিরাপত্তাকর্মীকে খুনের ঘটনায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা জজ ২য় আদালতের বিচারক আব্দুল হান্নান এ রায় দেন। 

এছাড়াও এ মামলায় তিনজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় সাদ্দাম নামের এক আসামি বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আশুগঞ্জের বগীর গ্রামের রসু মিয়া জামাল হোসেন ওরফে মাসুদ (৩০) ও আড়াইসিধা গ্রামের খালেক মিয়ার জামির হোসেন (৩৪)। 

অন্যদিকে ১০ বছর করে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আশুগঞ্জের চরচারতলা গ্রামের এলাই মিয়ার ছেলে মো. মোস্তফা (৩৪), নোয়াব মিয়ার ছেলে শাহাদাৎ হোসেন (২৪) ও আবুল কাশেমের ছেলে মাসুদ মিয়া (৪৩)।

মামলার নথি ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল) আশুগঞ্জ শাখার নিরাপত্তাকর্মী রাজেশ বিশ্বাসকে (২৩) খুন করে ব্যাংক ডাকাতির চেষ্টা করেন অভিযুক্ত আসামিরা। ঘটনার পর সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি থাকায় তখন ঘটনাটি কেউই জানতে পারেনি। ঘটনা প্রকাশ্যে আসে ২৬ সেপ্টেম্বর। ওই রাত পৌনে ১২টার দিকে বিডিবিএলের ওই শাখা থেকে নিরাপত্তাকর্মী রাজেশের হাত-পা ও মুখ বাঁধা রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরদিন ২৭ সেপ্টেম্বর বিডিবিএল আশুগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মোবাশ্বের হোসেন আশুগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। 

পরে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর চার্জ গঠন করেন। অবশেষে দুইজনকে যাবজ্জীবন, তিনজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও একজনকে খালাস দেন আদালত।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম বলেন, এটি একটি আলোচিত মামলা ছিল। কোর্ট পুলিশের চেষ্টায় আদালতে ১৮ জন সাক্ষী হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত দুই আসামি উপস্থিত ছিলেন। অন্য তিন আসামি পলাতক।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম