রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক, দেখলেই পিটিয়ে মারছে যেকোনো সাপ
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৬:১৯ পিএম
বর্তমান সময়ে এক ভয়াবহ আতঙ্কের নাম রাসেলস ভাইপার। দেশের সর্বদক্ষিণে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় গত কয়েক দিনে মারা হয়েছে অনেক সাপ। ছোট-বড় যেকোনো প্রজাতির সাপ দেখলেই মারা হচ্ছে সঙ্গে-সঙ্গে।
বর্ষাকাল হওয়ায় এসব এলাকার খাল, ডোবা-নালা, হাঁস-মুরগির খোঁয়াড়, গোয়াল, রান্নাঘরসহ সব জায়গায় দেখা মিলছে সাপের। এছাড়া জোয়ারের পানিতেও লোকালয় ভেসে আসছে অনেক সাপ। ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষ না চিনেই রাসেলস ভাইপার মনে করে তাৎক্ষণিক পিটিয়ে মারছে অন্য প্রজাতির সাপগুলো।
ঘরের ভেতরে-বাইরে, খেত-খামারে সব জায়গায় সাপের বিচরণ। কোথাও পাওয়া যাচ্ছে ডিম আবার কোথাও পাওয়া যাচ্ছে সাপের বাচ্চা। বিষধর এ সাপের হাত থেকে রক্ষা পেতে টেলিভিশন-পত্রিকা এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চালানো হচ্ছে জোরালো প্রচারণা। ফলে সাপ দেখলেই মেরে ফেলছেন সাধারণ মানুষ।
উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ঝাটিবুনিয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক ও এক ধরনের সাপুড়ে মো. নূরুল আমীন রাসেল বলেন, বর্তমানে রাসেলস ভাইপার সাপ আতঙ্কে রয়েছেন সবাই। সাপ দেখলেই মেরে ফেলা হচ্ছে। আমি অনেক আগে বেশ কয়েকটি বিভিন্ন প্রজাতির সাপ গ্রাম থেকে উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছি। তিনি সাপ না মেরে বন বিভাগকে সংবাদ জানানোর অনুরোধ করেন।
স্থানীয় পরিবেশকর্মী আবদুল্লা আল অভি বলেন, রাসেলস ভাইপার সন্দেহে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ মারলে পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে। সাপ না মেরে বন বিভাগ বা সাপ উদ্ধার করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে জানালে তারা উদ্ধার করে নিয়ে যাবে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী একেএম রাসেল বলেন, সাপে কামড় দিলে ওঝা কিংবা কবিরাজের কাছে না গিয়ে সরাসরি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে হবে। তাহলে রোগী বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ওঝা বা কবিরাজের কাছে নিয়ে গেলে রোগী খারাপ হয়ে যায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন দিতে পারলে বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।