প্রতীকী ছবি
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সুজন (২৪) নামে এক রিকশাচালককে লোহার রড গরম করে হাত-পা বেঁধে রাতভর নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় লোকজন বাড়ির সামনে তাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোদাগাড়ী পৌর এলাকার মাদারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার সুজন ওই এলাকার মৃত সাহজাহান আলীর ছেলে। এ ঘটনায় গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী রিকশাচালক সুজন বলেন, গত ২২ জুন রাতে রবিউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি রিকশা ভাড়ার নেওয়ার জন্য আমাকে তার বাড়িতে ডাকেন। সেখানে গেলে দলবদ্ধ হয়ে ঘরের ভেতর আমাকে আটকে রাখে। হাতে থাকা লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এরপর আরও পাঁচ থেকে সাতজন মাটিতে শুইয়ে হাত-পা চেপে ধরে থাকে এবং হাতে থাকা লোহার রড আগুনে গরম করে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার পিঠে একাধিক স্থানে ছেঁকা দেয়।
এদিকে এ ঘটনায় নির্যাতিত সুজনের বড় ভাই জামিল হোসেন গোদাগাড়ী মডেল থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- মাদারপুর গ্রামের কামরুল ইসলাম (৫০), একই এলাকার রবিউল ইসলাম, বাবু (২৫), পারভীন (৪৫) এবং মরিয়ম (৩০)।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আব্দুল মতিন জানান, রিকশাচলক সুজনকে নির্যাতনের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।