Logo
Logo
×

সারাদেশ

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদে তীব্র ভাঙন, বিলীন হচ্ছে বসতভিটা ফসলিজমি

Icon

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৪, ০৭:৩৮ পিএম

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদে তীব্র ভাঙন, বিলীন হচ্ছে বসতভিটা ফসলিজমি

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ১ সপ্তাহর ভাঙনে গৃহহীন হয়েছেন ১০টি পরিবার, ঘরবাড়ি নিয়ে সরে যেতে হয়েছে অন্তত ২০টি পরিবারকে। এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে শত শত একর আবাদি জমি। এছাড়া হুমকিতে রয়েছে ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি কমিউনিটি ক্লিনিকসহ অর্ধশত কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত বৈদ্যুতিক সাবমেরিন ক্যাবল। 

জানা গেছে, গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতি, মনতোলা ও কড়াই বরিশাল এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। হুমকিতে রয়েছে শাখাহাতি ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাখাহাতি কমিউনিটি ক্লিনিক, মনতোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বৈদ্যুতিক সাবমেরিন ক্যাবল। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, উজানে ব্রহ্মপুত্র নদের মাঝ থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় ইউনিয়নটি তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে । 

শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের মনতোলা এলাকার বাসিন্দারা ঘরবাড়ি, দোকান ভেঙে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে কেটে নিচ্ছেন তাদের গাছ ও বাঁশ। 

স্থানীয় বাসিন্দা রজিনা বেগম বলেন, নদীর ভাঙন এত তীব্র হয়েছে যে, ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র নেওয়ারও সময় পাচ্ছি না। সামনে নদী, তাই আমরা ঘর ভাঙলাম কিন্তু কোথায় গিয়ে আশ্রয় নিবো তার ঠিক নেই। আপাতত ঘরগুলো ভেঙে পার্শ্ববর্তী রাস্তায় নিয়ে রাখছি। 

জাইনুদ্দিন মিয়া জানান, গত এক সপ্তাহের নদী ভাঙনে এই এলাকায় অন্তত ১০টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধ করা না হলে হয়ত এক সময় মানচিত্র থেকে চিলমারী ইউনিয়নটি হারিয়ে যাবে। 

চিলমারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙনে ঘরবাড়ি, শত শত একর আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত সাবমেরিন ক্যাবলটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গেলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেই। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম