ছবি: যুগান্তর
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ৪ দিন ধরে অবস্থান করছেন এক সন্তানের জননী। স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি না দিলে অনশনেরও ঘোষণা দিয়েছেন এই নারী।
বুধবার থেকে খালুয়াবাড়ি গ্রামে প্রেমিক সোহাগের বাড়িতে অবস্থান শুরু করেন।
সোহাগ একই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনার পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহাগ।
এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর এখন কোথায়
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘বিয়ের আশ্বাসে সোহাগ আমার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক করেছে। আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে। আমাকে সর্বনাশ করেছে সোহাগ। এখন সে (সোহাগ) বিয়ে না করলে সমাজে মুখ দেখাব কীভাবে? মরা ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই। ’
ভুক্তভোগী আরও জানান, বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের পাশাপাশি দুই লাখ টাকাসহ তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়েছেন সোহাগ।
জানা গেছে, এক বছর আগে টিকটকের মাধ্যমে মোবাইলে সোহাগের সঙ্গে পরিচয় হয় এই নারীর। এর পর থেকে তাদের দুজনের মোবাইল ফোনে কথা হয়। কথা বলার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যান তারা।
এ সময় তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। এক সময় বিয়ের জন্য ওই নারী সোহাগকে চাপ দিতে থাকেন। তখন নানা টালবাহানা শুরু করেন সোহাগ।
একপর্যায়ে প্রেমিক সোহাগ বাড়িতে আসতে বললে ছুটে আসেন এই নারী। এ খবর পেয়ে সোহাগ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। নিরূপায় হয়ে বিয়ের দাবিতে ওই বাড়িতে অবস্থান শুরু করেন এই নারী। চারদিন ধরে সেখানে অবস্থান শুরু করেন। সোহাগ বিয়ে না করলে আত্মহত্যারও হুমকি দেন এই নারী।
এদিকে এই নারীর আগের স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি একটি চাকরি করতেন। তার একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে।
অভিযুক্ত সোহাগ আত্মগোপনে থাকায় এ বিষয় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কালিহাতী থানার ওসি কামরুল ফারুক বলেন, এ ঘটনাটি শুনেছি। এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।