১৫০০ পরিবার পানিবন্দি, গবাদিপশুর করুণ দশা
মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৪, ০৩:০৫ পিএম
গত কয়েক দিনে টানা ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার মদন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পানিবন্দি ৩৪ গ্রামের ১ হাজার ৬২০ পরিবার। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় খাদ্য সংকটের আশঙ্কা রয়েছে। কৃষক-খামারিরা বিপাকে পড়েছেন গবাদিপশু নিয়ে।
ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ধনু, মগড়া, বালই, বর্নি নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে উপজেলার প্রত্যেকটি হাওড়ে পানি বাড়ছে। এতে করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম ও মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২০টি আশ্রয়কেন্দ্র ।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার মাঘান ইউনিয়েনের মাঘান, নয়াপাড়া, পদারকোনা, চত্রমপুর, জঙ্গলডেমারগাতি, গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম, শান্তিপাড়া, রাজালিকান্দা, কদমশ্রী, মদন ইউনিয়নের বাগধাইর, বরিকান্দি, তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান, বালালী, ধুবাওয়ালা, ভাবানীপুর, বৈঠাখালী, ফতেপুর ইউনিয়নের লাছারকান্দা, দেওসহিলা, ফতেপুর গুচ্ছগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। টানা ভারি বৃষ্টি থাকায় লোকজন নৌকা ছাড়া বের হতে পারছেন না।
মাঘান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম খান মাসুদ বলেন, আমার ইউনিয়নের প্রায় ৪০০ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। সারাদিন বৃষ্টি থাকায় খাদ্য সংকটের আশঙ্কা রয়েছে। আমি উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। খাদ্যসংকট থাকলে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার তালুকদার শফি জানান, আমার ইউনিয়নের বিয়াশি ও ফতেপুর গুচ্ছগ্রামসহ কয়েকটি গ্রামে প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। আমি সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজখবর রাখছি। কোনো পরিবার যাতে খাদ্যসংকটে না পড়ে, তার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শাহ আলম মিয়া জানান, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মদন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১ হাজার ৬২০ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে বলে খবর পেয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোলরুম, মনিটরিং টিম, মেডিকেল টিম, ত্রাণ বিতরণ টিম গঠন করা হয়েছে। ২০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি ও দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।