Logo
Logo
×

সারাদেশ

ধরলা-তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

Icon

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৪, ০৫:৪৩ পিএম

ধরলা-তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

কুড়িগ্রামে তিস্তা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা নদীসহ ১৬ নদীর পানি বেড়েই চলছে। ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ও তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্যার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাঙন।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফসান জানি এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এখনো বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এসব নদ-নদীর পানিও বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।

পানি বাড়ার কারণে নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন সড়ক। ডুবে গেছে সবজিখেতসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, জেলার ওপর দিয়ে ১৬টি নদী প্রবহমান। এর মধ্যে ধরলা ও তিস্তা নদীর দুটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে, ফলে রাজারহাট, নাগেশ্বরী ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নিচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দুর্যোগ কবলিত মানুষের সংখ্যা তিন হাজার ৬৯১ জন। উপজেলা পর্যায়ে ১৪৪ টন জিআর চাল এবং নগদ ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ত্রাণ হিসেবে উপ-বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ৪০৪টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে হয়েছে। সেখানে দুর্গত মানুষ আশ্রয় নেওয়া শুরু করেছেন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে খাদ্য সহায়তা। ৪টি স্পিডবোট ও ২টি নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে বন্যার্তদের উদ্ধারের জন্য। জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. হামিদুল হক খন্দকার বৃহস্পতিবার যাত্রাপুর ও পাঁচগাছি ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদী ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বন্যার্ত কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের সহায়তায় স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর নদী ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম