প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৩০টি পশু কুরবানি করে প্রায় ১২০০ পরিবারের মাঝে গোশত বিতরণ করেছে সেবামূলক সংস্থা হাফেজ্জি চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ ও উই আর ওয়ান ফাউন্ডেশন।
ঈদের দিন সোমবার থেকে তাদের এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
এ বছর লালমনিরহাট, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, কুড়িগ্রাম, সিলেট, নওগাঁ, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, বরগুনা, নরসিংদী, গাইবান্ধা, নড়াইল ও কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে এসব গোশত বিতরণ করা হয়।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই হাফেজ্জি চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ অন্যান্য সেবা কার্যক্রমের সঙ্গে কুরবানির সময় দরিদ্র মানুষের মাঝে গোশত বিতরণ করে তাদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়। এ বছরও দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১০টি গরু ও ২০টি খাশি কুরবানি করে প্রায় ১২০০ পরিবারের মাঝে বিতরণ করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, জেলা বাছাই করে প্রকৃত দুস্থ মানুষের কাছে কুরবানির গোশত বিতরণ অবশ্যই একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল। আল্লাহ সহজ করেছেন, তাই করতে পেরেছি। ভবিষ্যতে তাদের প্রতিষ্ঠান মানব সেবায় আরও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক ইবরাহীম খলিল বলেন, চিকিৎসাসেবা, মেডিকেল ক্যাম্প, শীতবস্ত্র বিতরণ, নলকূপ স্থাপন, স্বাবলম্বীকরণ, ঈদসামগ্রী ও ইফতারের বাজার, ভাসমান মানুষদের মেহমানদারিসহ নানামুখী সেবা কার্যক্রম আল্লাহর রহমতে আমরা পরিচালনা করি। আমাদের সবচেয়ে আলোচিত ‘প্রজেক্ট জান্নাতের খোঁজে’।
জান্নাতের খোঁজে প্রজেক্টের মাধ্যমে পরিচালক মুহাম্মাদ রাজ অসহায় ও বেওয়ারিশ রোগীদের কেমোথেরাপি ও মেজর অপারেশনসহ জটিল এবং কঠিন রোগের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা দিয়ে ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, হাফেজ্জি চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ সরকারের নিবন্ধনপ্রাপ্ত একটি অরাজনৈতিক অলাভজনক সেবা সংস্থা। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সংস্থাটি তার প্রতিটি কাজের হিসাব ও অডিট রিপোর্ট স্বচ্ছতায় জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে রেখেছে।