হত্যার পর ঘরে সাবেক স্ত্রীর লাশ রেখে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান তালেব
আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৪, ০৮:১৪ পিএম
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় চাঞ্চল্যকর পোশাক শ্রমিক সাবিনা ইয়াসমিন হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা আবু তালেবকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। হত্যার পর চাদর দিয়ে সাবেক স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের লাশ ঢেকে ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান তালেব।
সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আবু তালেবকে গ্রেফতারের তথ্য জানান র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান।
হত্যাকারী আবু তালেব (২৭) বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার দামগাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি জীবিকার তাগিদে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় পোশাক কারখানার চাকরি করতেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, গত ১৫ জুন রাতে আশুলিয়ার গাজীরচট মুন্সিপাড়া এলাকা থেকে নারী পোশাক শ্রমিক সাবিনা ইয়াসমিন (২৫) নামের এক তরুণীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরে র্যাব ৪ এর একটি গোয়েন্দা দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কার্যক্রম শুরু করে।
মৃত সাবিনা ইয়াসমিন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার দাওয়াকুড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি তার পরিবারের সঙ্গে আশুলিয়ার গাজীরচট মুন্সিপাড়া এলাকায় বসবাস করে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
রাকিব মাহামুদ খান জানান, গ্রেফতার আবু তালেবকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়- ২০১৩ সালে সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং একপর্যাযে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই তাদের মাঝে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। দ্বিতীয় বিয়ের কারণে মনোমালিন্য তীব্র হয় এবং বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তীতে আবু তালেব পুনরায় আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় তৃতীয় আরেকটি বিয়ে করে সেখানে অবস্থান করলেও প্রায়ই তিনি সাবিনার ভাড়া বাসায় যাতায়াত করতেন ও মাস শেষে তার (সাবিনার) কাছ থেকে জোরপূর্বক বেতনের টাকা নিয়ে আসতেন।
বেতনের টাকা ও তৃতীয় বিয়ের বিষয় নিয়ে তাদের মাঝে পুনরায় মনোমালিন্যের সৃষ্টি হলে গত ১৩ জুন রাতে সাবিনার বাসায় যান তালেব। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সাবিনার ওড়না দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মরদেহ রুমের ভিতরে বিছানার চাদর দিয়ে ঢেকে দেন ও বাহির থেকে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান আবু তালেব। পরে তিনি ঢাকাসহ বগুড়ার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে করেন।
একপর্যায়ে র্যাব-৪ এবং র্যাব-১২ এর যৌথ অভিযানে রোববার রাতে বগুড়ার শাহজাহানপুর থানাধীন ওমরদিঘী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয় গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান রাকিব মাহামুদ খান।