যশোরের ঝিকরগাছার শংকরপুর ইউনিয়নে ১৪ বছর বয়সি এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গ্রাম্য সালিশে সমাজপতিরা ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে ওই ধর্ষণের বিচার সমাপ্ত করতে চেয়েছিলেন।
তবে বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় সমাজপতিদের ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। স্কুলছাত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
অভিযুক্ত মিজানুর রহমান (৪০) ঝিকরগাছা উপজেলার কুমড়ী গ্রামের আব্দুল গাফফারের ছেলে।
ধর্ষণের অভিযোগে রোববার রাতে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
ঝিকরগাছা থানায় মামলার এজাহারে জানা গেছে, অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত প্রতিবেশী মিজান। সম্পর্কে দাদা হওয়ায় মেয়ের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। গত ৬ জুন ঘর ঝাড়ু দেওয়ার কথা বলে কৌশলে ভুক্তভোগী ওই শিশুকে বাড়িতে ডেকে নেয় অভিযুক্ত মিজান। পরে ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে এবং কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখায়; কিন্তু মেয়েটি বাড়িতে এসে ঘটনাটি সবাইকে জানায়। এরপর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।
একপর্যায়ে রোববার রাতে স্থানীয় ব্যক্তিরা এটা নিয়ে সালিশ বসায়। পরে অভিযুক্ত মিজান তার দোষ স্বীকার করলে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়; কিন্তু ভুক্তভোগী পরিবার সেই বিচার না মেনে থানায় অভিযোগ করেন।
ঝিকরগাছা থানার ওসি কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, ধর্ষণের বিচার হচ্ছে এমন খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। পরে ভুক্তভোগী ওই শিশুর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আসামি মিজানকে আটক করা হয়। তাকে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই শিশুকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি এবং ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।