নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রতীক বরাদ্দের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার সামনেই মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলামের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তার প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী দেওয়ান আবুল বাশার বাদশার বিরুদ্ধে। 

সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আবুল বাশার বাদশাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ইস্তাফিজুল হক আকন্দ।  

এ সময় মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলামকে প্রায় ১০ মিনিট অবরুদ্ধ করে রাখেন বাদশার সমর্থকরা। একপর্যায়ে তারা উপজেলা সম্মেলন কক্ষের দরজা-জানালা ভাঙচুর ও চেয়ার ছোড়াছুড়ি করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, প্রতীক বরাদ্দের আগে থেকেই মেয়র প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত স্থানে নিজের প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীদের নিয়ে বসেছিলেন রফিকুল ইসলাম। এ সময় আবুল বাশার বাদশা লোকজন নিয়ে সম্মেলন কক্ষে প্রবেশ করে রফিককে আসন ছেড়ে পেছনে গিয়ে বসতে বলেন। রফিক চেয়ার ছাড়তে রাজি না হলে বাদশা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে রফিকুলের গায়ে ধাক্কা দেন তিনি। এ সময় রফিকের সমর্থকরা ঘটনার প্রতিবাদ জানালে বাদশার লোকজন তাদের ওরপ হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়। পরে বাদশার লোকজন সম্মেলন কক্ষের দরজা-জানালা ও প্রজেক্টর ভাংচুর করেন। এ সময় উপজেলা পরিষদ এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, বাদশা নিজের পরাজয় নিশ্চিত জেনে প্রতীক বরাদ্দের সময় আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। প্রশাসনের সামনেই আমার ওপর হামলা করার দুঃসাহস দেখায়। নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু এবং বহিরাগতরা যেন নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তিনি। 

আবুল বাশার বাদশা বলেন, বসা নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ওরা রিফুজি, ওরা সামনে বসবে কেন? তাই আমি তাদের চেয়ার থেকে উঠিয়ে দিয়েছি।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এটা যেন আর না হয় সেদিকে দৃষ্টি আছে।

জেলা রিটার্নিং অফিসার ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ায় আমার আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এ ব্যাপারে বাদশাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে।