Logo
Logo
×

সারাদেশ

বনায়নের ১০ কোটি টাকার গরমিল, পলাতক কর্মকর্তা 

Icon

শেরপুর উত্তর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪, ১০:০৩ পিএম

বনায়নের ১০ কোটি টাকার গরমিল, পলাতক কর্মকর্তা 

অভিযুক্ত বন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম। ছবি: যুগান্তর

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ি রেঞ্জের সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারি বনায়ন প্রকল্পের প্রায় ১০ কোটি টাকার গরমিল পেয়েছে বন বিভাগ। এ ঘটনায় দায়ী করে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বনের সদ্য বদলি হওয়া বন কর্মকর্তা (রেঞ্জ অফিসার) রবিউল ইসলামকে। বিপুল পরিমাণ এ অর্থ নিয়ে তিনি গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

টেন্ডারে বাগান বিক্রির এসব টাকার মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগ সরকারের রাজস্ব, বাকি ৪০ ভাগ ওই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কয়েকশ পাহাড়ি গরিব মানুষের। যার ফলে অংশীদারিত্বের টাকা খোয়া যাওয়ার আশঙ্কায় আছেন উপকারভোগী শত শত পাহাড়ের গরিব মানুষ। এ ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে বন অফিসে সুবিধাভোগীরা দিনরাত ঘুরছেন। তদন্ত কমিটিও আসছে ঘনঘন।

স্থানীয় ও বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে তিনি বালিজুরি রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। তার বাড়ি জামালপুরের মাদারগঞ্জে। যোগদানের পরপরই বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। একই কর্মস্থলে ৮ বছর চাকরি করেন। সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের এলাকার লোক হিসেবে চাকরিকালীন তিনি কাউকে কোনো প্রকার তোয়াক্কা করেননি বলে জানান স্থানীয়রা। 

অভিযোগ রয়েছে, গত ৮ বছরে তিনি নানা দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক বনে গেছেন। তার এসব দুর্নীতির মধ্যে নিলামে কাঠ বিক্রির প্রায় ২১০টি লটের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজের পকেটস্থ করেন। এভাবে তিনি গত ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রায় ১০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

 কাঠ ব্যবসায়ী নুর আলম জানান, আমি লট ক্রয়ের সাড়ে চার লাখ টাকা জমা দিলেও আমাকে কোনো রিসিট দেওয়া হয়নি; বন বিভাগ এখন আমাকে নোটিশ দিয়েছে। 

জানা যায়, তার এসব অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ তদন্তের জন্য বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক মো. ছানাউল্লাহ পাটওয়ারীকে প্রধান করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন। 

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ৯ কোটি টাকার হিসাব গরমিল পেয়েছি। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গা-ঢাকা দিয়ে দুর্নীতি পার পাওয়া যাবে না বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে বন কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের মুঠোফোনে সোমবার বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম