মাদ্রাসাছাত্রকে নিপীড়ন, শিক্ষক পলাতক
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪, ০৩:৫০ পিএম
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ৩য় শ্রেণির এক মাদ্রাসার ছাত্রকে নিপীড়ন করেছে ওই মাদ্রাসারই এক শিক্ষক। এ ঘটনায় ওই ছাত্রের মা বাদী হয়ে রোববার রাত ১০টায় ভাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত মাওলানা ছানাউল্লাহ ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের একটি কওমি মাদ্রাসায় পড়ান। অভিযুক্ত শিক্ষকের গ্রামের বাড়ি খুলনায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বলেন, আমার ছেলে ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের পুকুরপাড় গ্রামে খাদেমুল ইসলাম কওমি মাদ্রাসায় আবাসিকে তিন বছর ধরে লেখাপড়া করে আসছে।
২১ মে রাত অনুমানিক ৩টার দিকে সব ছাত্র যখন ঘুমিয়ে যায়, তখন শিক্ষক ছানাউল্লাহ আমার ছেলেকে তার বিছানায় নিয়ে যায়। সেখানে শিক্ষক ছানাউল্লাহ আমার ছেলেকে নিপীড়ন করেছে। সেই থেকে মাঝে মাঝে আমার ছেলে মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেয়। আমি রাগারাগি করে আবার মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিই।
গত ৮ জুন আমার ছেলে আবার মাদ্রাসা থেকে চলে আসে এবং আর মাদ্রাসা যেতে চায় না। রোববার সকালে আমার ছেলেকে জোরপূর্বক মাদ্রাসায় পাঠাই। সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে আমার ছেলেকে এসব কারণে ও অকারণে এবং কাউকে ঘটনা না বলার জন্য লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। আমার ছেলের শরীরের বিভিন্ন অংশে লাল লাল দাগ হয়ে যায়।
আমি দাগ দেখে ছেলেকে জিজ্ঞেসা করলে সে কান্না করে বলেন, আমার সঙ্গে হুজুর ছানাউল্লাহ খারাপ কাজ করছে। আমি ছাড়াও আরও দুই ছেলের সঙ্গে খারাপ কাজ করছে। আমি মাওলানা ছানাউল্লাহর কঠিন বিচার চাই।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছানাউল্লাহ মুঠোফোনে জানান, আমি তাকে পড়া না হওয়ার জন্য মারধর করেছি। এ ছাড়া অন্য কিছু করিনি।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার এসআই মারুফ জানান, এ ঘটনায় একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে।