রাঙ্গুনিয়ায় তিন সপ্তাহেও নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ স্কুলছাত্রী উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বন্দারাজারপাড়ার বাসিন্দা মো. নুরুল ইসলামের মেয়ে। সে হোছনাবাদ লালানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

পরিবারের দাবি, তাকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণের অভিযোগে আদালতে মামলাও করেছেন স্কুলছাত্রীর বাবা। অপহরণ নাকি অন্য কিছু তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

আদালতে করা মামলার বিবরণ ও মামলার বাদী মো. নুরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৫ মে ভোররাতে নুরুল ইসলামের ঘর থেকে তার মেয়েকে অপহরণ করে একই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বন্দারাজারপাড়ার মো. সফির পুত্র মো. সাইমন (২৩)। 

বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর গত ২১ মে ওই মেয়ের বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। মামলায় মো. সাইমনকে ১নং বিবাদী করে ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

মামলার বাদী নুরুল ইসলাম বলেন, বখাটে সাইমন আমার মেয়েকে স্কুলে -যাওয়ার পথে প্রায় সময়ে উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি সে আমাকে জানালে আমি তাকে এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলি। কিন্তু এর পরও সাইমন তাকে উত্ত্যক্ত করত।

পরে গত ২১ এপ্রিল এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও তার স্বজনদের জানানো হলে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সাইমন তার অপরাধের কথা স্বীকার করে আমার মেয়েকে ‘উত্ত্যক্ত করবে না’ মর্মে স্ট্যাম্পে সই দেয়। 

এসব ঘটনার জের ধরে ১৫ মে সকালে আমার মেয়েকে অপহরণ করে। মেয়েকে ঘরে না পেয়ে সাইমনের মায়ের কাছে গিয়ে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করি। কিন্তু তারা জানান, সাইমন আগের দিন রাত ১টা থেকে বাড়িতে নেই। 

পরে বাদী রাঙ্গুনিয়া থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দেন। কিন্তু থানায় অভিযোগ দিয়ে কোনো কাজ না হওয়ায় আদালতে মামলা করেন। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্ত করতে দেন আদালত। 

পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রেজাউল হাসান পাটোয়ারি বলেন,অপহরণ নাকি অন্য কিছু তদন্ত করছি। ক্লু পেলে তদন্তে এগোতে সহজ হবে। অপহরণ যদি হয়, চেষ্টা করছি যাতে ভিকটিম উদ্ধার হয়। জড়িতদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। 

বক্তব্য নিতে মামলার অভিযুক্ত প্রধান আসামি সাইমনের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।  এদিকে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে মা ফরিদা বেগম অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।