‘হুর’ এর জিপিএ-৫ সংবর্ধনায় শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস
হবিগঞ্জে টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করবে যমুনা গ্রুপ
তারিকুল ইসলাম, সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন, রোকন উদ্দিন লস্কর, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) থেকে
প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৪, ১০:০১ পিএম
২০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপের লাইফস্টাইল ব্যান্ড ‘হুর’। ছবি: যুগান্তর
২০২৪ সালে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া ২০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপের লাইফস্টাইল ব্যান্ড ‘হুর’। শুক্রবার বিকালে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া এলাকায় যমুনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে কৃতী শিক্ষার্থীদের এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সংবর্ধনা পেয়ে শিক্ষার্থীরা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে। যমুনা গ্রুপের লাইফস্টাইল ব্রান্ড ‘হুর’ এমন আয়োজন করায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান শিক্ষক ও অভিভাবকরাও।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যমুনা গ্রুপের অবদান অনস্বীকার্য।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির জন্য যুগোপযোগী জনবল তৈরির উদ্দেশ্যেই হবিগঞ্জে একটি টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে যমুনা গ্রুপ। বিশ্ববিদ্যালয়টি এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।
সভাপতির বক্তব্যে যমুনা গ্রুপের পরিচালক ও গ্রুপের লাইফস্টাইল ব্রান্ড ‘হুর’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম বলেন, ‘হুর’ অতি শিগগিরই সিলেটে একটা নতুন ব্রাঞ্চ করবে। শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা সব সময় একটা বিশেষ ছাড় রাখব। তাছাড়া এখানে যারা কর্মচারী আছেন, তাদের ছেলে-মেয়েদের স্কলারশিপ দিয়ে থাকি প্রতি বছর। যমুনা গ্রুপের যত প্রতিষ্ঠান আছে সব জায়গায়ই আমরা এই স্কলারশিপটা দিয়ে থাকি। গত ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ৫ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিকাল সোয়া ৪টায় কুরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পরে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রয়াত নুরুল ইসলামের রুহের মাগফিরাত কামনায় দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
যমুনা গ্রুপের পরিচালক ও গ্রুপের লাইফস্টাইল ব্রান্ড ‘হুর’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমাইয়া রোজালিন ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম ও টেন মিনিট স্কুলের সিইও আয়মান সাদিক। এছাড়াও বক্তব্য দেন দৈনিক যুগান্তরের উপসম্পাদক বিএম জাহাঙ্গীর।
উপস্থিত ছিলেন- যমুনা গ্রুপের পরিচালক ও গ্রুপের লাইফস্টাইল ব্রান্ড ‘হুর’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমাইয়া রোজালিন ইসলামের মেয়ে জেসেলিন হুরাইন হোসেইন ও যমুনা গ্রুপের হিউম্যান ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট বিজনেস অপারেশন্সের পরিচালক মো. আফসার উদ্দিন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- দৈনিক যুগান্তরের যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার, হুরাইন হাইটেক ফেব্রিক্সের পরিচালক (অপারেশন) রাজীব দাস, যমুনা গ্রুপের সিএসআরের জিএম মো. শহিদুল ইসলাম, ‘হুর’-এর হেড অব অপারেশনস মোহাম্মদ মেহমুদ গুঞ্জাল, হুরাইনের মার্কেটিং ডিরেক্টর লোকমান বিন আরিফ, হুরাইন ফেব্রিক্সের সিএমও আব্দুল হাকিম, যমুনা গ্রুপের অডিট অ্যান্ড ইন্টারনাল কন্ট্রোলের জিএম মো. জুলফিকার হায়দার, যমুনা গ্রুপের অ্যাকাউন্টসের জিএম সারোয়ার মজুমদার, ‘হুর’ জিন্স অ্যান্ড কোম্পানির হেড অব সেলস সৌমিত রঞ্জন মজুমদার, যমুনা ইলেক্টনিক অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিমিটেডের এজিএম রুহুল কে সাগর প্রমুখ।
পরে প্রধান অতিথি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম। আয়মান সাদিকের হাতে স্মারক তুলে দেন যমুনা গ্রুপের পরিচালক ও গ্রুপের লাইফস্টাইল ব্রান্ড ‘হুর’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমাইয়া রোজালিন ইসলামের মেয়ে জেসেলিন হুরাইন হোসেইন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যমুনা টেলিভিশনের উপস্থাপক জুলহাজ্জ জুবায়ের।
বক্তব্যে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, অনেকেই এমপি হয় কিন্তু সবার কপালে যমুনা জুটে না। আমি এমন ভাগ্যবান এমপি যে- আমার কপালে যমুনা জুটেছে। আপনারা বলেন যে, কিসের জন্য আমার এত আত্মবিশ্বাস। কিসের জন্য আমি সারা বাংলাদেশে বুক ফুলিয়ে কথা বলি। কারণ আমি জানি আমার এলাকায় যমুনা আছে। বিপদে পড়লে যমুনা পাশে দাঁড়াবে। শুরুতেই যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সাহেবের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তিনি।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার একটি ইচ্ছা ছিল যে, তিনি জীবিত থাকতে যদি আমি এই এলাকার এমপি হতে পারতাম তাহলে তার সঙ্গে আমার দেখা হতো। বাংলাদেশে অর্থনীতিতে তার অনেক অবদান আছে।
তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সাহেবের প্রজন্ম আমাদের এলাকায় আছেন। তাদের সঙ্গে যে আমি আজ বসতে পারছি এটিই আমার জন্য সম্মানের। আমার মাঝে মাঝে চিন্তা হয় যে, এই এলাকায় যদি কোন প্রলয়ঙ্করী কোন বন্যা হয়, ঝড় হয়, সরকার যদি আমাকে কাভার করতে না পারে তবে কারা আমাকে কাভার করবে। যে দুয়েকটি কোম্পানির নাম আমার মনে হয় তার মধ্যে যমুনা অন্যতম।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আপনারা যারা জিপিএ-৫ পেয়ে এখানে এসেছেন ১৯টি স্কুলের শিক্ষার্থী। আপনারা কারা জানেন? আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে আপনার কাছ থেকে এমপি পদটি নেবে কে। কে হবে আমার পর এমপি। আমার বিশ্বাস হয়-এ ১৯টি স্কুলেরই কেউ না কেউ আমাকে বিদায় দেবে। আমি আপানাকে স্বাগতম এখনই জানাচ্ছি। আমার একটি বিশ্বাস আমার ছেলে মেয়ে আমার কাছ থেকে এমপি পদ নিলে যতটুকু খুশি হবো তার চেয়ে বেশি খুশি হবো রক্তের উত্তরাধিকার না সক্ষমতার উত্তরাধিকার থেকে যদি আপনারা কেউ এমপি হন। যমুনার জন্য দোয়া করে দিয়ে যাচ্ছি। আমি কখনই এসে বলবো না যে আমাকে একটু ভাগ দেন। এ টাইপের এমপি আমি না। আপনাদের যা লাগে এক এমপি হিসেবে বেতন ছাড়া যমুনার কর্মচারী হিসেবে যমুনাকে আমি প্রোটেক্ট করব। কেন করব, আমার স্বার্থ কী? কারণ যমুনা যদি ভালো থাকে যমুনা যদি বেঁচে থাকে তাহলে আমার যে দায়িত্ব ১শ জন ছেলেমেয়েকে পাঠিয়ে বলতে পারব যে- তাদের একটি চাকরি দেন।
যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই জিপিএ-৫ পাওয়ার পেছনে যাদের বেশি অবদান তারা হলেন মা-বাবা। তারা হচ্ছেন গাছের মতো। যেই গাছ ছায়া দিয়ে আছেন। যতদিন এই বাবা মা বেঁচে থাকবেন, ততদিন এই ছায়া তারা দিয়ে যাবেন। সঙ্গে সঙ্গে তোমাদের যে শিক্ষকরা যারা বীজ বুনে দিয়েছেন, তোমাদের ফাউন্ডেশন তৈরি করে দিচ্ছেন, তোমরা এই ফাউন্ডেশনের জোরে জীবনে উন্নতি করবে। যমুনা গ্রুপের দরজা তোমাদের জন্য সব সময় খোলা থাকবে।
যমুনা গ্রুপের পরিচালক ও গ্রুপের লাইফস্টাইল ব্রান্ড ‘হুর’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম বলেন, যমুনা গ্রুপে আমরা যা করি সব মানুষের জন্যই করি। মাধবপুরে যমুনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ৩০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১ লাখ ৫০ হাজার লোক এখানে সংযুক্ত থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা আজ যাকে সবচেয়ে বেশি মিস করছি তিনি আমাদের শ্রদ্ধেয় বাবা যমুনা গ্রুপের স্বপ্নদ্রষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম। উনার কঠোর পরিশ্রমের ফলই হচ্ছে আজকের হবিগঞ্জের যমুনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক। ২০১৯ সালে উনার হাত ধরেই এ ব্র্যান্ড যাত্রা শুরু করে। আমার একমাত্র মেয়ে হুরের নামে ওর নানা এ ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেন। হুর অলরেডি বাংলাদেশের সব মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমে রাত-দিনের রেজাল্ট আজকে কার্যকর ডিজিটাল বাংলাদেশ। আমরা একটা স্মার্ট বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। গ্রামেগঞ্জে সবার হাতে আজকে স্মার্ট ফোন। সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরিশ্রমের জন্য। উনাকে আমি সম্মান করি, ফলো করি। এটা ছাড়াও আমাদের হুর অতি শিগগিরই সিলেটে একটা নতুন ব্রাঞ্চ করবে। সব শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা সব সময় একটা বিশেষ ছাড় রাখব। যাতে শিক্ষার্থীরা হুরের প্রোডাক্ট খুব কম মূল্যে ভালো একটা দেশীয় প্রোডাক্ট কিনতে পারে। হুরের প্রোডাক্ট সব সময় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্রান্ডকে ফলো করে। যারা একবার হুর কিনবে, সব সময় নিয়মিত কাস্টমার হয়ে যাবে। এছাড়া যমুনা গ্রুপ দুস্থ, অসহায়, গরিব যারা আছে তাদের সঙ্গে আছে এবং থাকবে।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও আয়মান সাদিকের প্রশংসা করে দৈনিক যুগান্তরের উপসম্পাদক বিএম জাহাঙ্গীর তাদের কাছে যমুনা গ্রুপের জন্য দোয়া ও সহযোগিতা চান।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা শপথ নেবেন চাকরি করব না, চাকরি দেব। ভবিষ্যতে এমপি সুমন হব, আয়মান সাদিক হব।
স্মৃতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের মরহুম চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সাহেবের সঙ্গে এখানে বহুবার এসেছি। কাদা মাটি পায়ে উনার সংগ্রামী ইতিহাস দেখেছি। আজকের এই সফলতা উনি দেখে যেতে পারলেন না। আমি মনে করি আপনারা এখানে যারা আছেন, দেখে শেখেন। আমাদের রোজালিন ম্যাডাম একজন উদ্যোক্তা। আমাদের শামীম স্যার গ্রুপের এমডি। আপনারা বড় হয়ে এ রকম এমডি হবেন, উদ্যোক্তা হবেন এই শপথ নেন। আমরা অর্থবিত্তের মালিক হতে পারি, কিন্তু ভালো মানুষ হওয়া কঠিন।
তিনি বলেন, হুরের আলোয় আমরা আলোকিত হব। হুর সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। হুর এমন একটি পোশাক, যারা এই পোশাক একবার পড়েছেন, তারা দ্বিতীয়বার অন্য কোনো পোশাক পরবে না। এটা আমাদের অহংকার, বাংলাদেশের অহঙ্কার।
টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আয়মান সাদিক বলেন, হুর তো বড় ব্র্যান্ড। আমি আজ আপ্লুত হয়েছি যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সাহেবের কথা শোনে। একটি মানুষ শূন্য থেকে এত বড় কিছু তৈরি করতে পারেন এটি আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। আমরা অনেকেই এখানে আছি, আমাদের অনেক বড় বড় স্বপ্ন আছে। আমরা এমপি হব, যমুনার মতো বিশাল প্রতিষ্ঠান তৈরি করব।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা এসএসসিতে সময় পেয়েছিলে ২৬ মাস। আর এইচএসসিতে পাবে ১৮ মাস। সময় কমবে ৮ মাস; কিন্তু পড়তে হবে ৪ গুণ বেশি। ২৬ মাসের পড়ার ৪ গুণ বেশি পড়তে হবে ১৮ মাসে। দ্বিতীয়ত তোমরা এখন থেকেই সেট করে ফেলবে যে ভবিষ্যতে তোমরা কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাও। অনেকেই এ-প্লাস পায় কিন্তু স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারে না। তখন তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে, লক্ষ্যচ্যুত হয়। আমি চাই তোমরা এখন থেকে পরিকল্পনা করো যে, কোথায় পড়তে চাও। এখন থেকে পরিকল্পনা করলে সে অনুযায়ী পড়াশোনা করতে পারবে। আর এইচএসসির পর পরিকল্পনা সেট করলে নাকানিচুবানি খেতে হবে।
এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া ২০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা, বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস: এদিকে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দুপুর ১২টা থেকে যমুনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে আসতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। দুপুর ২টার আগেই কৃতী শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয় অনুষ্ঠানস্থল। ছিল শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা।
অনুষ্ঠান শুরুর পর ১৯টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির কাছ থেকে ক্রেস্ট উত্তরীয় ও গিফট গ্রহণ করেন। সংবর্ধনা পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে গোবিন্দপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিও-৫ পাওয়া শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। আমাদের জন্য খুব ভালো ব্যবস্থা করেছে। এ রকম সংবর্ধনায় শিক্ষার্থীরা অনেক উপকৃত হবে। আমাদের আরও উৎসাহিত করবে। ’
অপরূপা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মো. মুজিবুর রহমান বাহার বলেন, ‘সাধারণত কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান এ রকম আয়োজন করে না। বিশেষ করে যমুনা গ্রুপের লাইফস্টাইল ব্যান্ড ‘হুর’ জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিচ্ছে এটা অনেক ভালো দিক। এতে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি করে উৎসাহ পাবে।’
অনুষ্ঠানে জাহেলাবাদ মুহিয়্যসুন্নাত দাখিল মাদ্রাসা, কাজিরচক নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা, আউলিয়াবাদ রাম কেশব উচ্চ বিদ্যালয়, অপরূপা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, মাধবপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, শাহজাহানপুর উচ্চ বিদ্যালয়, মাধবপুর দরগাবাড়ী পৌরসভা মাদ্রাসা, বানেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়, সৈয়দ সাঈদ উদ্দিন হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাউথ কাশিমনগর উচ্চ বিদ্যালয়, ছাতিয়াইন বিশ্বনাথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, বঙ্গবীর ওসমানী উচ্চ বিদ্যালয়, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়, গোবিন্দপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, আন্দিউড়া উম্মেতুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়, জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, প্রেমদাময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ মাধবপুর উপজেলার ১৯টি মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসা থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া ২শ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
নিত্যনতুন ডিজাইন ও মানসম্পন্ন পোশাক নিয়ে ‘হুর’ ইতোমধ্যেই মানুষের মন জয় করেছে । সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে এ বছর হুর কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়ার এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। মেধাবী এসব শিক্ষার্থীর পাশে থেকে তাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে ভূমিকা পালন করবে ‘হুর’।
পাশাপাশি তাদের যোগ্য ও কর্মক্ষম জনশক্তিতে পরিণত করতে যে কোনো ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখবে। ভবিষ্যতে হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারেও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিবে যমুনা গ্রুপ।