Logo
Logo
×

সারাদেশ

পশুর হাটের ৫০ শতাংশ ইজারা চায় চউক, বিধানে না থাকলেও রাজি চসিক

Icon

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৪, ১০:৫১ পিএম

পশুর হাটের ৫০ শতাংশ ইজারা চায় চউক, বিধানে না থাকলেও রাজি চসিক

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) তাদের একটি মাঠে পশুর হাট বসানোর অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ রাজস্ব চেয়ে বসেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কাছে। 

আইনগতভাবে কোনো সংস্থার সঙ্গে রাজস্ব শেয়ার বা ভাগাভাগি করার বিধান না থাকলেও অযৌক্তিক এই শর্তেই রাজি হয়ে গেছে চসিক। শর্ত অনুযায়ী আলোচ্য পশুর হাটের ইজারার ২ কোটি ২১ লাখ টাকার অর্ধেক পরিশোধ করতে হবে চউককে। এ নিয়ে করপোরেশনের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় অবস্থিত আউটার রিং রোড সংলগ্ন বালুর মাঠে অস্থায়ী পশুর হাটের টেন্ডার আহ্বান করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। টেন্ডারে হারন অর রশীদ নামে এক অংশগ্রহণকারী সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ২ কোটি ২১ লাখ টাকায় এই হাটের ইজারা পান। টেন্ডারের শর্ত অনুযায়ী ৫ জুন থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত ১০ দিন পশুরহাট বসানো যাবে। 

এর আগে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তাদের মালিকানাধীন এই মাঠে হাট বসানোর অনুমতির জন্য একটি শর্ত জুড়ে দেয়। যাতে বলা হয় ‘মোট রাজস্ব আদায়ের ৫০ শতাংশ চউককে প্রদান করতে হবে।’ এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন চউকের সচিব মো. মিনহাজুর রহমান। 

চসিকের সাধারণ ঠিকাদার এবং সংশ্লিষ্টরা জানান, চউক বা যে কোনো সংস্থা থেকে মাঠ ভাড়া বা ব্যবহারের অনুমতি নিয়ে তা ইজারা দিতে পারে সিটি করপোরেশন। এ ক্ষেত্রে ভাড়া বাবদ অর্থ প্রদান করা যেতে পারে। কিন্তু চসিক যে রাজস্ব পাবে হাটের ইজারা থেকে সেই রাজস্ব ভাগাভাগি করার কোন সুযোগ নেই আইনে। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে চউকের অযৌক্তিক শর্ত চসিক মেনে নিল কার স্বার্থে- এমন প্রশ্ন তোলেন তারা। ৫ জুন ইজারাদারকে প্রদত্ত চিঠিতে স্বাক্ষর করেন চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম।

চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী রাষ্ট্রীয় সফরে সিঙ্গাপুর থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। 

তবে মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম যুগান্তরকে বলেন, ‘কোনো সংস্থার সঙ্গে রাজস্ব শেয়ার করা বা রাজস্বের নির্দ্দিষ্ট শতাংশ অর্থ প্রদানের কোনো সুযোগ আইনে নেই। তবে চউক পশুর হাট ইজারার বিপরীতে ৫০ শতাংশ রাজস্ব প্রদানের শর্ত জুড়ে দিলেও সেই শর্ত মানতে হবে এমন কোনো কথা নেই। যেহেতু দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তাই রাজস্ব শেয়ারের পরিবর্তে মাঠ ভাড়া বাবদ হয়তো কিছু টাকা দেওয়া হবে। তা ১০-১৫ শতাংশ হতে পারে। ইতোমধ্যে ইজারার অর্থ সিটি করপোরেশনের কোষাগারে জমা হয়ে গেছে।’
 
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম