Logo
Logo
×

সারাদেশ

বাগমারায় লাল নিশানা টাঙিয়ে বিল দখলের অভিযোগ

Icon

বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৪, ০১:২৪ পিএম

বাগমারায় লাল নিশানা টাঙিয়ে বিল দখলের অভিযোগ

বাগমারায় লাল নিশানা টাঙিয়ে মৎস্যচাষিদের বিল দখলের অভিযোগ উঠেছে লাঠিয়াল বাহিনীর বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে থানা ও হাটগাঙ্গোপাড়া তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ অভিযান চালিয়ে অর্ধশতাধিক বাঁশের লাঠি উদ্ধার করেছে। 

বিল দখলে নিতে নাশকতার উদ্দেশ্যে বাহিনীর প্রধান মজিবর রহমানের ভাগিনা দুলাল উদ্দিনের বাড়িতে লাঠিগুলো মজুত রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বুধবার থেকে বিল সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। 

জানা গেছে, নরদাশ ইউনিয়নের হাতিয়ার বিলে কৃষকদের জমিতে বিনা খরচে সেচ সুবিধা দিয়ে প্রায় ১৫ বছর ধরে ‘হাতিয়ার বিল মৎস্য চাষ প্রকল্পের’ আওতায় মৎস্যচাষীরা মাছ চাষ করে আসছেন। জমিতে বিনা খরচে সেচ সুবিধা দেওয়া ছাড়াও মাছ চাষের বিনিময়ে কৃষকদের প্রতি শতক জমির ভাড়া বাবদ বার্ষিক ৬০০ টাকা দেওয়া হয়। এই ধরনের সুবিধা পাওয়ায় বিল সংলগ্ন ৭-৮টি গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষক ৩০০ টাকা মূল্যের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে লিখিতভাবে ‘হাতিয়ার বিল মৎস্য চাষ প্রকল্পের’ আওতায় মৎস্যচাষীদের মাছ চাষের জন্য অনুমতিও দিয়েছে। 

প্রকল্পের সভাপতি তমেজ উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক উপজেলা আ.লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিন জানান, নরদাশ ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্নসম্পাদক মজিবর রহমান, ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল মতিন ও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্নসম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লাঠিয়াল বাহিনী হাতে বাঁশের লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। মঙ্গলবার হাতিয়ার  বিলের মধ্যে লাল নিশানা টাঙিয়ে এবং ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মৎস্যচাষিদের বিলটি জোরপূর্বক দখল করে নেয়। 

এ বিষয়ে লাঠিয়াল বাহিনীর প্রধান নরদাশ ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্নসম্পাদক মজিবর রহমান বলেন, উপজেলা আ.লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে কিছু লোকজন প্রায় ১৫ বছর ধরে বিলটি দখল করে রেখেছেন। তাই বিলটি উদ্ধারের জন্য লাল নিশানা টাঙানোর কথা স্বীকার করেন।

থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, একটি পক্ষ বিলের মধ্যে লাল নিশানা টাঙিয়ে দিয়ে মৎস্যচাষিদের বিল দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। পরে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম