দুমকিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ
দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম
দুমকিতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্র করে কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাওসার আমিন হাওলাদারের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার রাত পৌনে ৮টায় আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের রূপোশিয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রবিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাওসার আমিন হাওলাদার উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের রূপোশিয়া গ্রামের কাপ-পিরিচ প্রতীকের কর্মী ফজলুর রহমানের অসুস্থতার খবর পেয়ে তাকে দেখতে গেলে মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মীদের হামলার শিকার হন । তাকে দেখে মোটরসাইকেলের কর্মীরা অশ্লীল গালাগাল করেন। একপর্যায়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী নজরুল ইসলাম, সাচ্চু, তালেব, মিজান সরদার, মানসুর আলম, মিরাজ মোল্লা ও জিয়াসহ ২৫-৩০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান । খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেট এবং দুমকি থানার ওসিসহ একটি একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রার্থী কাওসার আমিন হাওলাদারকে উদ্ধার করে উপজেলা শহরে নিয়ে আসে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৬ মে একই ইউনিয়নের ঝাটরা মাদ্রাসা ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় তারা কাপ-পিরিচ প্রতীকের কর্মীদের ওপর হামলা চালান। এতে কাপ-পিরিচ প্রতীকের ৫ কর্মী আহত হলে তাদের বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কাপ-পিরিচ মার্কার প্রার্থী কাওসার আমিন বলেন, এর আগে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার কর্মীদের ওপর কয়েক দফা হামলা করা হয়েছে । আমি বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি আপনাদের মাধ্যমে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনায় রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে একটি অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন মাহমুদ ঘটনা সততা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে আটক করে আটজনকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক থাকায় তিনজনকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দুমকি থানার ওসি শফিউর রহমান বলেন, সাজাপ্রাপ্ত ৮ জনকে পটুয়াখালী কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দুমকি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে তৃতীয় ধাপের ২৯ মের নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় আগামী ৯ জুন অনুষ্ঠিত হবে।