বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী বলেছেন, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে অনবদ্য কাজ করে গেছেন অশোক রায় নন্দী। তার সান্নিধ্য আমাকে প্রাণিত করতো। শিল্প, সংস্কৃতিতে যেখানে গিয়েছেন সেখানেই ভালো কিছু উপহার দিয়েছেন। সবাই তাকে গুরুত্বও দিয়েছেন।  নিভৃতচারীর মতো কাজটাকেই গুরুত্ব দিতেন সবসময়। সেই মানুষটিকে হারিয়ে আমাদের মাঝে শূন্যতা বিরাজ করছে।

শুক্রবার বিকালে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে থিয়েটার ফোরামের আয়োজনে প্রথিতযশা নাট্যযোদ্ধা, ঢাকা থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত অশোক রায় নন্দীর স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

থিয়েটার ফোরাম চাঁদপুরের সভাপতি শহিদ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে স্মৃতিচারণ করেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কুদ্দুস, প্রয়াত অশোক রায় নন্দীর ভাই ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ড. আবদুল হক তালুকদার, থিয়েটার ঢাকার অন্যতম কর্ণধার নরেশ ভূঁইয়া, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা গাজী রাকায়েত, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল চন্দন রেজা।  পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে সুজিত রায় নন্দী স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।

এছাড়াও স্মৃতিচারণ করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় ভৌমিক, জেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্বাহী সদস্য রূপালী চম্পক, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তপন সরকার, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার মহাসচিব ও চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব হারুন আল রশিদ প্রমুখ।

স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অশোক রায় নন্দী'র স্মৃতিকে ধরে রাখতে পারলে আমরা হয়তো আরেক একজন অশোক রায় নন্দীকে পাবো। সংস্কৃতি অঙ্গনের বড় এক অধ্যায় ছিলেন তিনি। একজন প্রচারবিমুখ মানুষ ছিলেন। তিনি পৃথিবীকে ভালোবেসে ছিলেন এবং নিজেও ভালোবাসা পেয়েছিলেন। তিনি মানুষের মত বেঁচেছিলেন। তিনি আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাননি। আমরা যতদিন আছি তিনি আমাদের সাথেই থাকবেন। তার কর্মকাণ্ড প্রচারণায় আমাদের ব্যর্থতা ছিল। এই দায় আমাদের। তার মৃত্যুর পর এদেশের শোকসভা হওয়ার আগে কলকাতায় শোকসভা হয়েছিলো। এমনটি হয়েছিলো তারই কর্মের কারণেই। তার রাজনৈতিক আদর্শ ছিল। তার আদর্শ ছিল মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ। তার এই আদর্শকে আমাদের বয়ে নিয়ে যেতে হবে। তার কর্মকাণ্ডগুলো নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান তারা।