ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শাহনাজ আক্তার নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। 

এ ঘটনার পর থেকে স্বামী বিশাল রহমানসহ তার পরিবার সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন। রহিমানপুর ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রাম থেকে শুক্রবার দুপুরে ওই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার স্বামী বিশাল রহমান একই এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে।

ইমামের রাজকীয় বিদায়, নিজেও কাঁদলেন গ্রামবাসীদের কাঁদালেন

এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা জানান, এক বছর আগে রায়পুর ইউনিয়নের কাঁচনা এলাকার শাহজাহানের মেয়ের সঙ্গে বিশালের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের টাকার জন্য শাহনাজকে মারধর করতেন।

ঘটনার দিন শুক্রবার ভোরে বিশালের বাড়ি থেকে চিৎকারের আওয়াজ শোনা গেলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। এ সময় তারা শাহনাজকে বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। প্রতিবেশীদের দেখে দ্রুত পালিয়ে যায় বিশাল, তার বাবা ফারুকসহ তার পরিবারের অন্য সদস্যরা।

মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে শাহনাজের বাবা শাহজাহান কাঁদতে কাঁদতে বলেন, তারা দুজন ভালোবেসে সম্পর্ক করে বিয়ে করে। চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটিকে তার স্বামী, শ্বশুর ও তার দেবর গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এর আগেও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন শাহনাজকে মারধর করত বলেও অভিযোগ করেন শাহজাহান।

সদর থানার ওসি এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, লাশ বিছানায় পড়েছিল। প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।