রাণীনগরে ২১ প্রার্থীর ১৩ জনই হারাচ্ছেন জামানত
রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ১২:২০ পিএম
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে রাণীনগরে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তিনটি পদে মোট প্রার্থী ছিলেন ২১ জন। এর মধ্যে ১৩ প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। বুধবার ভোটগ্রহণ শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফল বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
নির্বাচনি বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে এক লাখ টাকা জমা দিতে হয়। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। নির্বাচনি এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান, তাহলে নির্বাচন কমিশনে তার জমা দেওয়া টাকা (জামানত) বাজেয়াপ্ত হবে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস ও নির্বাচনের ঘোষিত ফল বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে ছয়জন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। এ উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ১৭ জন। এখানে চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়ে ৬৪ হাজার ৯৫৪। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ হচ্ছে ৯ হাজার ৭৪৩, যা পাননি ছয়জন প্রার্থী।
জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া প্রার্থীরা হলেন— উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি আসাদুজ্জামান পলাশ (টেলিফোন প্রতীক), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সুজিত চন্দ্র সাহা (ঘোড়া প্রতীক), আওয়ামী লীগ সমর্থক ইয়াকুব আলী প্রামানিক (হেলিকপ্টার প্রতীক), আওয়ামী লীগ সমর্থক মীর মোয়াজ্জেম হোসেন (শালিক প্রতীক), আওয়ামী লীগ সমর্থক গোলাম রাব্বানী (মোটরসাইকেল প্রতীক) ও বিএনপি সমর্থক সরদার মো. আব্দুল মালেক (দোয়াত কলম প্রতীক)।
এখানে ২৩ হাজার ৪৬৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. রাহিদ সরদার।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে চারজন প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন। এখানে যুবলীগ নেতা প্রদ্যুত কুমার প্রামাণিক (চশমা প্রতীক) নিয়ে নির্বাচন করে ১৬ হাজার ৪১৯ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে জামানত হারাচ্ছেন তিনজন প্রার্থী। এখানে পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন মোছা. রুমা বেগম; ৩২ হাজার ১৩৯ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।