চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকার ১২টি বাহিনীর ৫০ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদের মধ্যে ৪৯ জন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের মধ্যে ৩ জন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত জলদস্যু। তারা ৯০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বেশকিছু গোলাবারুদ জমা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা র্যাব-৭-এর এলিট হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে তারা আত্মসমর্পণ করেন।
র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে ‘জলদস্যুবাহিনীর আত্মসমর্পণ’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ-সদস্য এম আব্দুল লতিফ, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, র্যাবের ডিজি এম খুরশীদ হোসেন, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা।
আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন মাহমুদ করিম ও জসীম উদ্দীন।
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, র্যাব অপরাধ দমনের জন্য কিছু সৃজনশীল কাজ হাতে নিয়েছে। র্যাব সন্ত্রাসীদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। জঙ্গি নির্মূলে র্যাবের ভূমিকা অপরিসীম। জনগণের শান্তির জন্য পুলিশের সঙ্গে র্যাব কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে।
জলদস্যুরা ৩৫টি একনলা বন্দুক, ১৮টি এসবিবিএল, ১৭টি ওয়ান শুটার গান, ১টি দুইনলা বন্দুক, ১টি পিস্তল, ১টি রিভলভার, ৩টি বিদেশি পিস্তল, ১টি এসএমজি ও ২টি এয়ারগানসহ ৯০টি অস্ত্র এবং চারটি ওয়াকিটকি জমা দিয়েছেন। এছাড়াও গুলি ও কার্তুজ জমা দিয়েছেন ২৮৩ রাউন্ড।