‘এভারেস্টে অনেক মরদেহ দেখেছি, কিন্তু মনোবল হারাইনি’
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪, ১০:৩৬ পিএম
এভারেস্ট ও লোৎসে জয়ী বাবর আলী বলেছেন, সুস্থ শরীরে ফিরে এসেছি এটা আমাকে আনন্দ দিয়েছে। এ সময় ওজন কমেছে চার কেজি। এভারেস্টে অনেক মরদেহ দেখেছি কিন্তু আমি মনোবল হারাইনি। অনেকের ইকুইপমেন্ট নতুন, তারা মারা গেছেন বেশিদিন হয়নি। এভারেস্ট সামিট করার ক্ষেত্রে আবহাওয়া বড় ফ্যাক্টর। বাংলাদেশের একজন আবহাওয়াবিদ আমাকে দারুণ সহযোগিতা করেছেন।
বুধবার নগরীর আলিয়স ফ্রঁসেজ দ্য চট্টগ্রাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন ও পতাকা-প্রত্যর্পণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে দুঃসাহসী অভিযানের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন তিনি।
পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ ‘এভারেস্ট’ ও চতুর্থ সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ‘লোৎসে’ জয় করে মঙ্গলবার রাতে বাবর আলী দেশে ফিরেছেন।
সবচেয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে বাবর আলী বলেন, নেমে আসার সময় এক আহত পর্বতারোহীর জন্য সৃষ্ট মানবজটে পড়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা আটকে ছিলাম। ওই উন্মুক্ত এলাকায় শুরু হয় তুষার ঝড়। সৌভাগ্যক্রমে বড় কোনো দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যাই। এভারেস্টের উচ্চতা বেশি হলেও লোৎসে আরোহণ তুলনামূলকভাবে কঠিন।
তিনি আরও বলেন, এভারেস্টের শীর্ষে প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো অবস্থান করেছি। এভারেস্ট এবং লোৎসে শিখর হতে দেখা নিচের পৃথিবীর দৃশ্য এই জীবদ্দশায় ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। ক্যাম্প-৪ এবং এর উপরের এলাকায় পর্বতারোহীরা অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করলেও আমি যতটা সম্ভব কম কৃত্রিম অক্সিজেন নিয়েছি। কারণ আগামীতে কৃত্রিম অক্সিজেনের সহায়তা ছাড়াই আটহাজারী শৃঙ্গ আরোহণ করার স্বপ্ন রয়েছে।
নিজের ক্লাব ‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স’, সh পৃষ্ঠপোষক সংগঠন এবং ক্রাউড ফান্ডিংয়ে অংশ নেওয়া শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পর্বতারোহী বাবর আলী। গত ১৯ মে পৃথিবীর শীর্ষ পর্বত এভারেস্ট এবং ২১ মে চতুর্থ শীর্ষ পর্বত লোৎসে আরোহণ করে উড়িয়েছেন লাল-সবুজের পতাকা।
এই অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামান অভিযানের পেছনের গল্প সাংবাদিকদের তুলে ধরে বলেন, পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা পেলে এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলে বাংলাদেশের পর্বতারোহীরা আরও অনেক দুর্দান্ত কীর্তি বয়ে আনতে পারবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের সভাপতি দেবাশীষ বল, প্রধান উপদেষ্টা শিহাব উদ্দিন এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠান ভিজ্যুয়াল নিটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএন ফয়সাল প্রমুখ।