জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল, স্বাস্থ্য বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এবং রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের আয়োজনে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) কার্যক্রমের আওতায় রাজশাহী বিভাগে তামাকবিরোধী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
আলোচনা সভার শুরুতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেমিনারের সভাপতি অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল। সেমিনারে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়ক মো. আকতারুজ্জামান।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী বিভাগের স্থানীয় সরকার শাখার পরিচালক পারভেজ রায়হান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি) মোহাম্মদ কবির উদ্দীন, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. আনোয়ারুল কবীর, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাসান তারিক।
সেমিনারে মুক্ত আলোচনায় অংশগ্ৰহণ করেন- রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক, আরএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) মো. নাছির উদ্দিন যুবায়ের, সোনালী সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক মো. লিয়াকত আলী, সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, রাজশাহী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান, আপস মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের প্রোগ্ৰাম ম্যানেজার এসএম আব্দুল্লাহ আল রেজা।
এছাড়া সেমিনারে বিভাগীয় টাস্কফোর্স কমিটি, গণমাধ্যম, এনজিও, সুশীল সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং রাজশাহী বিভাগের অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য থেকে সরকার যে রাজস্ব আহরণ করে সরকারের তামাকজনিত চিকিৎসা ব্যয় তার চেয়ে অনেক বেশি। তারা ধূমপান ও তামাক জাতীয় দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইনের কঠোর প্রয়োগ, তামাক চাষীদেরকে বিকল্প লাভজনক ফসল চাষে উৎসাহিত করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধূমপানবিরোধী প্রচারণা বৃদ্ধি, পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য এলাকা সংরক্ষণ বাতিলসহ নানা সুপারিশ পেশ করেন।