Logo
Logo
×

সারাদেশ

দেড় কোটি টাকার রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

Icon

অহিদুল হক, বড়াইগ্রাম (নাটোর)

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৪, ০৭:৫৬ পিএম

দেড় কোটি টাকার রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

নাটোরের বরাইগ্রামে প্রায় দেড় কোটি টাকার রাস্তা নির্মাণে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। তাদেরকে মানসম্মত ইটের খোয়া ও বালু ব্যবহার করতে বলা হলেও ঠিকাদারের লোকজন তা মানছেন না বলে দাবি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বরাইগ্রাম সদর ইউনিয়নের রয়না ভরট বটতলা থেকে খাসখামার গ্রাম অভিমুখে এক হাজার ৬০০ মিটার পাকা রাস্তা নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আরকেআর ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী বনপাড়া পৌর এলাকার আব্দুর রহিম মোল্লা এক কোটি ৪০ লাখ তিন হাজার ১৮৯ টাকা ব্যয় বরাদ্দে রাস্তাটি নির্মাণের দায়িত্ব পান। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদার বেশ কিছুদিন আগে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করে। রাস্তায় ভালো মানের বালুর ব্যবহারের কথা থাকলেও তারা স্থানীয় একটি পুকুর থেকে তোলা বালু ব্যবহার করেছে যার অর্ধেকের বেশিই মাটি। পরে তারা ইটভাটার ইটের সারির নিচে ভেজা স্যাঁতস্যাতে জায়গায় পড়ে থাকা তিন নম্বর ইট কিনে খোয়া বানিয়ে সেগুলো রাস্তায় দিচ্ছে। এসব খোয়া হাত দিয়ে চাপ দিলেই ভেঙ্গে যাচ্ছে। স্থানীয় লোকজন এসব খোয়া ব্যবহারে বাধা দিয়ে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানালেও কোনো কাজ হয়নি। তারা পরবর্তীতেও একই ধরণের ডাস্টযুক্ত ভেজা নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করছেন। 

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রয়না ভরট বটতলার পাশে একটি জায়গাতে ইট ও বালির স্তুপ করে রাখা হয়েছে। সেখানে এক্সকেভেটর মেশিন দিয়ে ওইসব নিম্নমানের খোয়া ও বালু মেশানো হচ্ছে। পরে সেগুলো ড্রাম ট্রাকে করে রাস্তায় নিয়ে ফেলা হচ্ছে। 

রয়না ভরট গ্রামের বাসিন্দা মজিবুর রহমান ও আইয়ুব আলী জানান, রাস্তা পাকা হবে জেনে আমরা খুবই খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু যে নিম্নমানের খোয়া-বালু দিচ্ছে, তাতে এই রাস্তা কয়েক মাসই টিকবে না। আমরা নিষেধ করলেও ঠিকাদারের লোকজন মানছে না। 

জানতে চাইলে ঠিকাদার আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, ভাটা থেকে খোয়া দেওয়া হয়েছে, হয়তো সেগুলোতে সমস্যা হতে পারে। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগ পাওয়ার পর রাস্তা পরিদর্শন করে ঠিকাদারকে এসব সামগ্রী পরিবর্তন করে দিতে বলা হয়েছে। তারপরও তারা নিম্মমানের খোয়া দিচ্ছে বলে শুনেছি। এ ব্যাপারে ঠিকাদারকে ডেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউর রহমান বলেন, ‘নিম্নমানের ইট ও খোয়া ব্যবহারের বিষয়টি জানার পর পরিবর্তন করে দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে বলেছিলাম। এরপরও এ ধরনের কাজ হয়েছে। ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম