প্রচারণায় জমে উঠেছে বিজয়নগরের নির্বাচনী মাঠ
বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৪, ০৭:৫১ পিএম
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৪র্থ ধাপে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় জমে উঠেছে নির্বাচনীয় মাঠ।
গত ২০ মে (সোমবার) জেলা প্রসাসকের হল রুমে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন ৬ জন চেয়ারম্যান, ৯ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থীর প্রতীক ঘোষণা করেন।
প্রতীক পাওয়ার পর প্রত্যেকেই যার যার মতো প্রচার প্রচারণা শুরু করেন। গণসংযোগ, জনসভা, উঠান বৈঠক, গুণকীর্তন গেয়ে মাইকিংসহ বিভিন্নভাবে তারা প্রচারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন নিয়মিতই। ইউনিয়ন পর্যায়ে অতিরিক্ত নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন, লেমিনেশন পোস্টার, দেওয়ালে পোস্টার লাগানো, পোস্টারে ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন পেপার।
চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী থাকলেও ভোটের মাঠে সক্রিয় ৩ জন প্রার্থী আছেন, বাকি ৩ জন প্রতিকী প্রার্থী। সক্রিয় ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন- বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী ঘোড়া প্রতীক, যুবদল থেকে সদ্য বহিষ্কৃত আল জাবের (জাবেদ আহমেদ) আনারস প্রতীক ও কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত নেতা প্রকৌশলী কাজী মো. রফিকুল ইসলাম।
এই সক্রিয় ৩ প্রার্থীর মধ্যেই লড়াই হবে বলে ভাবছেন উপজেলার সচেতন মহল। এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রার্থী থাকলেও ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছেন তারা।
পালকি প্রতীক নিয়ে উলামা মাশায়েখ সমর্থিত মুফতি রেদওয়ানুল বারী সিরাজী, উপজেলা যুবদল থেকে সদ্য বহিষ্কৃত চশমা প্রতীকের মোর্শেদ কামাল, তালা প্রতীকের সুর্নিমল সাহা ও বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীকের উপজেলা যুবদল থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতা মোখলেছুর রহমান লিটন মুন্সি।
এদিকে সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী থাকলেও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কলস প্রতীক নিয়ে আবারো প্রার্থী হয়েছেন সাবিত্রী রাণী, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফয়জুন্নাহার টুনি হাঁস প্রতীক এবং নতুন মুখ- শিক্ষক ও সংগঠক হালিমা আক্তার ফুটবল মার্কা নিয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। তাদের ত্রিমুখী প্রতিযোগিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উপজেলার একাধিক সচেতন ভোটারের সাথে আলাপকালে জানা যায়, এবারের উপজেলা নির্বাচন হবে অংশগ্রহণ ও প্রতিযোগিতামূলক। এ নির্বাচনে শিক্ষিত, ভদ্র, মার্জিত প্রার্থীর পাশাপাশি দাঙ্গা ও মাদকমুক্ত থাকার অঙ্গীকার করে প্রার্থীরা যদি ভোটারদের পরিকল্পিত উপজেলা গঠনের রূপরেখার আশ্বস্ত করতে পারেন তাহলে তাদের দিকে রায় যাবে।