দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে খুলনার দিঘলিয়া ও ফুলতলা উপজেলায় নয় প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ২৩ প্রার্থী। এর মধ্যে নয়জন নির্ধারিত ভোট না পাওয়ায় জামানত হারাচ্ছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা এটিএম শামীম মাহমুদ জানান, কোনো প্রার্থী মোট প্রদত্ত ভোটের আটভাগের একভাগ ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সে অনুযায়ী ভোট না পাওয়া প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
সূত্র জানায়, দিঘলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে মোট প্রদত্ত ভোট ৫৭ হাজার ৪৫১। চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন চারজন। এর মধ্যে বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত নেতা গাজী এনামুল হাচান মাসুম ১ হাজার ৭৩৭ এবং আওয়ামী লীগের জাকির হোসেন ২ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়ে জামানত হারাচ্ছেন। উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রদত্ত ভোট ৫৭ হাজার ৪৫৩। প্রার্থী ছিলেন ৮ জন। এর মধ্যে গোবিন্দ মণ্ডল ৬ হাজার ২১৫, ইমামুল ইসলাম ৫ হাজার ৫২৭, ইনামুল শেখ ৫ হাজার ৩৩৬, বজলুর রহমান ফকির ৩ হাজার ৯৯৯ এবং তহিদ মিয়া ৮৭১ ভোট পেয়ে জামানত হারাচ্ছেন।
দিঘলিয়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রদত্ত ভোট ৫৭ হাজার ৪৪৯। প্রার্থী ছিলেন তিনজন। এর মধ্যে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মমতাজ শিরীন ৭ হাজার ১০২ ভোট পেয়ে জামানত হারাচ্ছেন। এদিকে ফুলতলা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রদত্ত ভোট ৫২ হাজার ৫৭৫। চার প্রার্থীর মধ্যে খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন ৬০ ভোট পেয়ে জামানত হারাচ্ছেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদের তিন প্রার্থী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের দুই প্রার্থীর কেউ জামানত হারাচ্ছেন না।